ভারতকে খোঁচা দিতে গিয়ে বেজিংয়ের নাগপাশে কাঠমাণ্ডু! নেপালের ৭ এলাকায় চিনের ড্রাগন-থাবা
একটা সময় চিনের কথায় নড়চড়ে নেপালের রাজনীতিতে পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এমন দাবি বহুবার ওয়াকিবহাল মহলের তরফে ওঠে। ভারতের সেনা প্রধান মুকুন্দ নরভানেও সেরকমই ইঙ্গিত দেন। এবার সেই চিনের সঙ্গে গলায় গলায় বন্ধুত্বের ফল ভোগ করছে নেপাল!

চিনের থাবা নেপালের জমিতে
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, নেপাল চিন সীমান্তে, নেপালের ৭ টি জেলার বিভিন্ন অংশে চিন থাবা বসিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দিল্লি সতর্ক নজর রাখছে বলে খবর। এদিকে, কয়েকদিন আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা এলির সঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ R&AW এর প্রধানের বৈঠক ঘিরে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে নেপালে। ফলে একদিকে বৈঠক অন্যদিকে , নেপালের এলাকায় চিনের দখলদারি , কোথাও গিয়ে চেনা অঙ্ক তুলে ধরছে বলে খবর।

নেপালের কোন কোন অংশে চিনের দখল?
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, নেপালের দোলাকা, গোরখা, দারচুলা, হুমলা, সিন্ধুপালচক, রাসুয়াতে চিনে জমি , জায়গা দখল করতে শুরু করে দিয়েছে। বিস্তারবাদের নেশায় বুঁদ চিন এককালে নেপালকে পরামর্শ দিয়েছিল বেজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতার। পাশাপাশি নেপালকে বেজিং বার্তায় জানানো হয় 'পাকিস্তানের মতো হও'। যে পাকিস্তান চিনের সবমরশুমের বন্ধু।

নেপালের অন্দরের পরিস্থিতি
প্রসঙ্গত, ভারতীয় গোয়েন্দাবিভাগের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি সরকার এই এলাকা দখলের বিষয়ে জানতে পেরেও, চিনকে মদত দিচ্ছে। পাশাপাশি চিনের দোষ নেপালের মানুষের সামনে চাপার চেষ্টা করছে। যা পরবর্তীকালে নেপালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

গ্রাম নিয়ে সংঘাত
নেপাল নিজের সীমার মধ্যে রুই গ্রামটিকে রেখেছে। তারা দাবি করছে, এলাকার মানুষ নেপাল সরকারকে করও দেন। এদিকে, ওই এলাকা চিন দখলে রেখেছে বলে দাবি বেজিংয়ের। তোমার নীর তীরবর্তী এই রুই গ্রাম চিন টিবেট অটোনমাস রিজিওয়েনর মধ্যে রেখেছে বলে দাবি করা হয়। জানা যাচ্ছে, ১৫০০ মিটার সীমান্ত নেপালির দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো জটিলতা তৈরি হতে পারে কাঠমাণ্ডুর বুকে। এমনই দাবি ভারতের গোয়েন্দাবিভাগের।

নদী তীরবর্তী এলাকা দখলে রাখতে চাইছে চিন
দেখা যাচ্ছে, চিন ক্রমাগত নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতকে দখলে রাখতে চাইছে। নেপালের কারনালি, সানজেন,ভাগদারে নদীর তীরের এলাকার জমি নেপাল দখলে রাখতে চাইছে বলে একটি সুক্ষ্ম ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে।

বাইডেনকে পিছনে ফেলে ট্রাম্পের ভোট আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে তুল্যমূল্য লড়াই
{quiz_399}