'রাজনৈতিক ভাইরাস' ছড়িয়ে 'ঠাণ্ডা যুদ্ধ' শুরু করতে চাইছে আমেরিকা, দাবি চিনের
'রাজনৈতিক ভাইরাস' ছড়িয়ে 'ঠাণ্ডা যুদ্ধ' শুরু করতে চাইছে আমেরিকা, দাবি চিনের
করোনা ভাইরাস ইস্যুতে চিন ও আমেরিকার সম্পর্ক যে তলানিতে গিয়ে ঠেকছে, তা বলাই চলে। মারণ ভাইরাসের বাড় বাড়ন্তের জন্য সরাসরি বেজিং-কে দায়ী করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। চিন ইচ্ছে করে বিশ্বের সামনে এই সমস্য তৈরি করেছে বলেও দাবি মার্কিন শিবিরের। সেই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে চিন। এবার এই ইস্যুতে আমেরিকাকে সরাসরি নিশানা করল শি জিংপিং-এর দেশ।
করোনা ভাইরাস ও চিন
চিনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের প্রভাব ছড়ায়। সেখান থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড-১৯। বর্তমানে চিনে এই ভাইরাসের প্রভাব কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি। বিশ্বব্য়াপী ৫৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী ৫৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৬ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯৮ হাজারেরও বেশি মানুষের। অন্যদিকে করোনা সূচনা স্থল চিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮৩ হাজারে পৌছেছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের।
চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
করোনা ভাইরাস চিনের গবেষণাগারে সৃষ্ট এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে আমেরিকা। সেই দাবিতে অটুঁট থেকে এবার মারণ ভাইরাসের উৎসস্থল চিহ্নিত করার জন্য আন্তর্জাতিক গবেষণার দাবি তুলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। করোনা ভাইরাসের প্রকৃত উৎস সন্ধানে আন্তর্জাতিক গবেষণায় অংশ নিতে চলেছে আক্রান্ত দেশগুলি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হলে তবেই এই উদ্যোগে সামিল হবে বলে জানিয়েছে চিন।
আমেরিকা প্রসঙ্গে চিন
বিশ্বে যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, ঠিক একই ভাবে আমেরিকা 'রাজনৈতিক ভাইরাস' রফতানি করছে বলে দাবি তুলেছে চিন। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই-এর কথায়, ভিত্তিহীনভাবে তাঁদের আক্রমণ করে দুই দেশের সম্পর্কে আরও তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ চিনের সঙ্গে ঠাণ্ডা যুদ্ধে নামতে চাইছে বলে জানিয়েছেন ওয়াং। তবে যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলায় তাঁরা তৈরি বলেও জানিয়েছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রী।
হংকং প্রসঙ্গে
হংকং-এ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি চালু করতে গত শুক্রবার চিনের আইন সভায় এক প্রস্তাব পেশ হয়। আধা-একনায়কতন্ত্র থেকে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু করার জন্য হংকং-এ চলতে থাকা আন্দোলন সামাল দিতে এবং তাতে আমেরিকার প্রচ্ছন্ন ইন্ধন করার লক্ষ্যেই চিন এই আইন পাশ করতে বদ্ধপরিকর বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।