'করোনা নিয়ে ভুল তথ্যের শিকার আমরাই', চিনের দাবিতে হতভম্ব বিশ্ব
প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাস নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনও পরোক্ষ আবার কখনও সরাসরি চিনকে দোষারোপ করেছেন এই সংক্রমক ব্যাধি ছড়ানোয়। ইউরোপের দেশগুলোও টরাম্পের সঙ্গে সহমত পোষণ করছিল।
খাদের কিনারায় ঝুলে রয়েছে অর্থনীতি
করোনার জেরে খাদের কিনারায় ঝুলে রয়েছে অর্থনীতি। সৌজন্যে সারা বিশ্বে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের প্রকোপ। চলমান সংকটে আগামী দুই বছরের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি কমে যেতে পারে ৯ লাখ কোটি ডলার।
বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ৩০ লক্ষ
বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ইতমিধ্যেই ৩০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ২ লাখ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ আক্রান্ত দেশগুলোতে জারি করা হয়েছে লকডাউন। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।
উহানে এখন কী পরিস্থিতি?
গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহানে দেখা দেয় করোনা ভাইরাস। এরপর থেকে তিন মাসেরও বেশি সময় যাবৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ভুগেছে চিন। হুবেই প্রদেশের এই উহান থেকেই পরবর্তীতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। সেই ভাইরাসের থেকে অবশ্য মুক্তি পেয়েছে চিন ও উহান। যদিও এখনও পুরোপুরি করোনা মুক্ত হয়নি সেদেশ। তবে আগের থেকে সংক্রমণের হার কমেছে বহু গুণ। সেখানের মৃত্যু মিছিল থেমেছে।
কী বলছে চিন?
এরই মধ্যে এবার চিনের পাল্টা দাবি। করোনা ভাইরাস নিয়ে তারাই ভুল তথ্যের শিকার। এদিন চিনের বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়ে এই কথা বলে। যদিও গোটা বিশ্ব চিনের এই কথা কতটা বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর সন্দেহ। পাশাপাশি এদিন চনের তরফে আরও দাবি করা হয় যে তাদের বিরুদ্ধে করোনা ছাড়নোর যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন