ভারতে ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ হতেই মাথায় হাত চিনের! বেজিংয়ের তরফে দিল্লিকে দেওয়া হল কোন বার্তা?
পিএলএ-র আগ্রাসনের জেরে পূর্ব লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় তৈরি হওয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বৈঠকে বসল ভারত ও চিন। চুশুলে দুই দেশের বৈঠকের আগেই অবশ্য আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। নেপথ্যে কেন্দ্রের 'ডিজিটাল স্ট্রাইক।' এক ধাক্কায় ভারতে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত বেজিংয়ের।
উদ্বিগ্ন চিন
ভারতে ৫৯ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন চিন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে তারা। এদিকে ভারতের তথ্য় প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন যে, অ্য়ান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্য়াটফর্মে থাকা মোবাইল অ্য়াপকে অপব্য়বহার করে গ্রাহকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত বেড়েই চলেছে
অপর দিকে লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত বেড়েই চলেছে। ক্রমেই লাদাখে সেনা ও অত্যাধুনিক অস্ত্র বাড়াচ্ছে দুই দেশ। এহেন যুদ্ধের আবহের আঁচ গিয়ে পড়েছে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপগুলির তালিকায় রয়েছে টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, ক্যাম স্ক্যানার, হেলো অ্যাপ সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ।
ভারতে চিনা অ্যাপের বাজার
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে প্রতি তিনজন ভারতীয়র মধ্যে একজনের ফোনে এসব নিষিদ্ধ অ্যাপের একটা না একটা ছিল এতদিন। মে মাসে এই সব নিষিদ্ধ অ্যাপের সম্মিলিত ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ কোটি। শুধু টিকটক ব্যবহার করে এমন ১০ কোটি ভারতীয় রয়েছেন।
নিষিদ্ধ হতেই নড়েচড়ে বসেছে টিকটক
এদিকে নিষিদ্ধ হতেই নড়েচড়ে বসেছে টিকটক। নিষিদ্ধ হওয়ার একদিনের মাথাতেই টিটক জানিয়ে দিল যে সরকারি নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে তারা। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টিটকের তরফে বলা হয়, ভারতীয় আইনের অধীনে তথ্যের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই মেনে চলেছে।
টিকটককে ডেকে পাঠিয়েছে সরকার
সংস্থাটির দাবি, ভারতের টিকটক ব্যবহারকারীদের কোনও তথ্যই তারা 'চিনের সরকার সহ বিদেশি কোনও সরকারের' কাছে প্রকাশ করেনি। 'টিকটক ইন্ডিয়া'-র প্রধান নিখিল গান্ধী পরিষ্কারভাবে বলেন, 'আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলার জন্যে ডেকে পাঠানো হয়েছে, আমরা তাতে সাড়া দেবো এবং আমাদের তরফে স্পষ্ট করেই সব ব্যাখ্যা দেব।'
আকসাই চিন দখলে রাখতে মরিয়া বেজিং! ভীষ্মে ভীত চিনের ভরসা এখন পুরোনো হেলিপোর্ট