শিক্ষা হয়নি! করোনার সংক্রমণ থামতেই ফের বাদুড়-কুকুরের মাংসে মজল চিন
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু যখন হয়েছিল, তখন এটির উৎস মনে করা হচ্ছিল বাদুড় বা প্যাঙ্গোলিন। বিজ্ঞানীদের একাংশের মত, এই বাদুড়ের মধ্যে দিয়েই প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল চিনে। তারপর তা বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার নেয়। এদিকে চিনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। আর তা হতেই ফের তাদের বাজারে দেদার বিকোতে শুরু করেছে বাদুড়-কুকুরের মাংস।
চিনে ফের শুরু জঙলি জানোয়ার ভক্ষণ
চিনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে গিয়ে থাকলেও, বাকি বিশ্বে তা ক্রমেই আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যেই ৮ লক্ষের বেশি আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ৪২ হাজার। এর মধ্যে চিনে মারা গিয়েছে ৩ হাজার। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব মনে করেছিল যে করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষা নিয়ে জঙলি জানোয়ার ভক্ষণ থেকে দূরে থাকবে চিন। তবে সেরকম কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
বাজারে প্রাণী হত্যার ছবি বাইরে যেতে পারে না
এই বিষয়ে মার্কিন এক সাংবাদিক সম্প্রতি একটি প্রকাশ করে জানান, করোনাভাইরাস ছড়ানোর আগে যেভাবে বিক্রি হত ঠিক সেভাবেই বাজারে ফের বাদুড়, প্যাঙ্গোলিন ও কুকুরের মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এবার বাজারের উপর নজর রাখছে রক্ষীরা। কোনওভাবেই যাতে বাজারের ছবি কেউ তুলতে না পারে কিংবা প্রাণী হত্যার ছবি বাইরে না যায়, সেদিকে নজর রেখেছে তারা।
করোনার উৎস : উহানের হুয়ানান সিফুড মার্কেট
আর এই খবর প্রকাশ হতেই ফের নড়চড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। প্রসঙ্গত, চিনের উহানের হুয়ানান সিফুড মার্কেট ছিল এই করোনা সংক্রমণের মূল কেন্দ্র। এখান থেকে সিফুডের মাধ্যমে ইউরোপের দেশগুলিতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। একই কথা বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
ফের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে?
এদিকে চিনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া চার মাস হয়ে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোনও ওষুধ ছাড়াই এই ভাইরাসকে মেটানো গিয়েছে বলে দাবি চিনের। তবে হুবেই ও চিনের পরিস্থিতি নিয়ে এতদিন তথ্য লুকিয়েছে বেজিং। এমন অভিযোগ বারবারই উঠছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এতেই প্রমাদ গুণছেন বিজ্ঞানীরা। চিনে করোনার প্রকোপ কমেছে মানেই তা শেষ হয়ে যায়নি। ফেই এই বাদুড়ের মাংস থেকে যেন এই ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে।