মার্কিন নির্বাচনের 'চিট কোড' চিনের হাতে! সংঘাতের আবহে বেজিং-ট্রাম্প আঁতাত ঘিরে জল্পনা
চিনের উপর বেজায় চটে রয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। এদিকে হাত তুলে নিয়েছেন অ্যামেরিকার স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও। করোনা পরিস্থিতি উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন অ্যামেরিকার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য চিনকেই দোষী মানছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর জেরেই চিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নিজের রাগ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।

চিন-ট্রাম্প সমঝোতার জল্পনা
তবে তিনি যতই চিন বিরোধী রব তুলুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ফের চিন-ট্রাম্প সমঝোতার বিষয়টি সামনে চলে আসছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিনা কমিউনিস্ট সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের এডিটর ইন চিফ টুইটে ট্রাম্পের উদ্দেশে লিখেছেন, 'মার্কিন-চিন সম্পর্ক খারাপ করতে আর কোনও পদক্ষেপ নেবেন না। চিনা ছাত্রদের দেশ থেকে বের করবেন না। আমেরিকানদের টিকটক ব্যবহার থেকে আটকাবেন না। মনে রাখবেন, এটা আপনাকে পুননির্বাচিত করতে সাহায্য করবে।'

জন বল্টনের বিস্ফোরক দাবি
প্রসঙ্গত কয়েক দিন আগেই, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ট্রাম্প শি জিনপিংয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। বল্টন তাইং বইতে লেখেন, 'দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি হতে চিনের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জন্য চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের কাছে নাকি রীতিমতো আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। আসলে ট্রাম্প আমেরিকার কৃষকদের ভোট নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এর জন্য আমেরিকা থেকে চিন যেন বেশি করে গম ও সয়াবিন আমদানি করে তার অনুরোধ করেছিলেন।' এই খবরে গোটা বিশ্ব তোলপাড় হওয়ার কয়েকদিনেই গ্লোবাল টাইমসের এডিটরের এহেন টুইঠ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

চিনকে একঘরে করতে তৎপর ট্রাম্প
চিনকে একঘরে করতে একদিকে যেমন ট্রাম্প জি৭ সম্প্রসারণের বিষয়ে বেজিংকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেছেন। তেমনই চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপকে সমর্থন করার পাশাপাশি প্রয়োজনা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হংকং-তাইওয়ানেও বেজিংয়ের কূদৃষ্টি নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন।

আমেরিকার অভিবাসন নীতি এবং ভিসা সংস্কার
চলতি বছরের নভেম্বরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন। আর তার আগেই অভিবাসন নীতি এবং ভিসা সংস্কার নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এহেন পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক এক ঘোষণার পর আমেরিকায় আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের মধ্যে তুমুল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

কী থাকবে এই আইনে?
সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান তিনি এক্সিকিউটিভ নির্দেশের বিষয়ে কাজ করছেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমেরিকায় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যে আবেদন করতে হয় সেই বিষয়টিও থাকছে। ট্রাম্প জানান এই নীতি লাগু হলে নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ হবে এবং তরুণ অভিবাসীদের আইনগত সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিও এই বিলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

আমেরিকাও টকটক ব্যনের পথে
এদিকে কয়েকদিন আগেই লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের আবহে ভারতে চিনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এবার সেই পথে হাঁটতে পারে আমেরিকাও। এমনই ইঙ্গিত দিলেন সেদেশের সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। পম্পেও এই বিষয়ে জানান যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রসাশন এই বিষয়ে চিন্তা ভআবনা করছে।

চিনের বিরুদ্ধে ভারতকে সমর্থন মার্কিন মুলুকের
ভারতে চিনা অ্যাপ বন্ধ হওয়ার পরও মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও, একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নজরদারি রুখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসাবে কাজ করতে পারে। অ্যাপগুলিকে মুছে ফেলার এই সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করে তুলবে এবং অখণ্ডতা এবং জাতীয় সুরক্ষাকে নিশ্চিত করবে।