
লাদাখে এলএসি-র কাছে চিনের নির্মাণকাজ উদ্বেগজনক, বলছেন আমেরিকার সেনাকর্তা
বর্তমানে বিশ্বের দুই মহা শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন। বিগত ক'বছর ধরেই তাদের অন্তঃসম্পর্ক খুব একটা ভাল নয়। সরাসরি যুদ্ধে না জড়িয়ে পড়লেও কূটনীতিক তথা বাণিজ্যিক মহলে একাধিকবার তাল ঠুকতে দেখা গিয়েছে তাদের। এবার লাদাখে চিনা পরিকাঠামো নির্মানকে স্পষ্টভাবে উদ্বেগজনক বলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কী বলছেন মার্কিন সেনা আধিকারিক?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ সেনা আধিকারিক জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লাদাখ অঞ্চলে চিনা সেনার পরিকাঠামো নির্মানের কথা বলেন। তাঁর কথায় 'এটি একটি অসংবেদনশীল তথা অস্থিরতার উদ্রেক করে এমন উদ্যোগ। এটা আমাদের কাছে ঘুম ভেঙে ওঠার ডাকের মতোই৷ কাউকে না কাউকে প্রশ্ন করতেই হবে, এই সিদ্ধান্তের মানে কী?' তিনি আরও বলেন, ' এই ধরনের উদ্যোগে লাদাখে অস্থিরতা বাড়বে বই কমবে না৷ আমি মনে করি, এই ধরনের শক্তির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে আমরা যথেষ্ট ক্ষমতাশালী।'

সাম্প্রতিক সময়ে শক্তিশালী হয়েছে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক
বিগত ক'বছরে মার্কিন-চিন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অবনতির সমানুপাতে উন্নতি হয়েছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। সাম্প্রতিক অতীতেও লাদাখ সমস্যা নিয়ে ভারতের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে হিমালয়ের উচ্চতায় যুদ্ধাভ্যাস করতে চলেছে এই দুই দেশ৷ হিমালয়ের কোন অংশে ট্রেনিং হবে, তা যদিও এখনও স্থির হয়নি। মূলত দুই দেশের বায়ূসেনা ট্রেনিং করবে হিমালয়ের উচ্চতায়। রিয়েল টাইম ইনফরমেশন, আক্রমণ সহ একাধিক বিষয়ে যৌথ মহড়া করতে দেখা যাবে বিশ্বের দুই শক্তিশালী বায়ুসেনাকে। জেনারেল ফ্লিনের কথায়, 'এই সমস্ত বিষয়গুলিতে ভারত এবং মার্কিন সেনা উভয়ই জোর দেবে।'

ভারত-চিন সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে বানিজ্যেও!
শেষ পাঁচবছরে ভার-চিন সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে৷ লাদাখ থেকে অরুণাচল, ভারত চিন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে ক্রমশ। শেষ দু'তিন বছরে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সামরিক পর্যায়ে বৈঠকেও বসেছে দু'দেশের সামরিক কর্তারা। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি! দু'দেশের সীমান্ত সমস্যা প্রভাব ফেলেছে বানিজ্যেও! এবার ভারতে ব্যবসা করা চিনা কোম্পানিগুলিকে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেছে দেশ। যে সমস্ত চিনা কোম্পানিগুলির আর্থিক অসঙ্গতি রয়েছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে৷ এর আগেও সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের বিরোধিতার আঁচ ভারতে ব্যবসা করা চিনা কোম্পানিগুলিকেও সহ্য করতে হয়েছে সময়ে সময়ে!