মোদীর হুঁশিয়ারি কোন চোখে দেখছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি! লাদাখ নিয়ে কোন সন্ধিক্ষণে দিল্লি-বেজিং?
সর্বদল বৈঠকে যেই মন্তব্য ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক তুঙ্গে, প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যরই প্রশংসায় চিনের মিডিয়া। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'ভারতে চিনা বাহিনী প্রবেশ করেনি' মন্তব্য ঘিরে বিরোধী পক্ষের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্র। তবে বেজিংয়ের মতে এই মন্তব্য দুই দেশের মধ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে।
কী বলছে বেজিং?
চিনের কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকাতে মোদীর সেই বিতর্কিত উক্তি নিয়ে লেখা হয়, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বক্তব্য পরিস্থিতি ফের শান্ত করতে সাহায্য করবে। মোদী তাঁর দেশের জাতীয়তাবাদের ডাকে সারা দিয়েছেন। তবে তিনি এও জানেন যে এই মুহূর্তে ভারত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। চিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসনে মোদীর এই বক্তব্য খুবই কার্যকরী হবে।
কংগ্রেসের তরফ থেকে একের পর এক প্রশ্ন বাণ
এর আগে এই মোদীর উক্তি প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফ থেকে একের পর এক প্রশ্ন বাণে জর্জরিত করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রশ্ন তোলা হয়, যদি চিনা বাহিনী ভারতে প্রবেশ না করে, তাহলে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যু হল কী করে? বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়, ১৫ জুন লাদাখে চিনের তরফ থেকে সীমান্ত লঙ্ঘনের যে প্রচেষ্টা করা হয়েছিল, তা ভারতীয় সেনা জওয়ানরা রুখে দিয়েছিল।
আক্রমণে রাহুল-মনমোহন
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পি চিদম্বরম সহ অনেক বিরোধী নেতা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশ মন্ত্রী জয়শংকর এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত এবং বিভ্রান্তিকর।
কেন্দ্রের সাফাই
এদিকে মোদীর বক্তব্য নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বীর জওয়ানরা যখন সীমান্ত রক্ষা করছে, তখন দুর্ভাগ্যবশত তাদের মনোবল কমাতে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
ভারতের উপর চিনের কুনজর! পিএলএ-র চোখে চোখ রাখতে লাদাখ সহ LAC-জুড়ে মোতায়েন বিশেষ বাহিনী