চিনে আচমকা থমকে গিয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি, এক দশকে বড়সড় রেকর্ড
চিনে আচমকা থমকে গিয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি, এক দশকে বড়সড় রেকর্ড
বিশ্বের জনবহুল দেশগুলির মধ্যে চিনের জনসংখ্যা বহু দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিগত বছরগুলিতে। তবে করোনা কালে সেদেশে জন্মের হার কমতিতে যেতে শুরু করেছে। যা নিঃসন্দেহে একটি উদ্বেগের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চিনে কী ঘটছে?
চিনের শেষবারের আদম সুমারি হয়েছে ২০১০ সালে। তারপর ৫.৪ শতাংশ বেড়েছে চিনের সংখ্যার বৃদ্ধি। শেষবার এতটা কমতিতে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ১৯৬০ সালে দেখা গিয়েছে। এদিকে, সমাজে বৃদ্ধের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ও কর্মক্ষমতা যুক্ত মানুষের সংখ্যা কমতিতে থাকার ঘটনা রীতিমতো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে এই জনসংখ্যার কমতির হার থেকে।
২০১৬ সালে কোন পদক্ষেপ বেজিংয়ের?
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বেজিং সেদেশে পরিবার পরিকল্পনার ঘরানায় কিছুটা পরিবর্তন আনে। সেই সময় চিনে হুহু করে জনবিস্ফোরণ হতে থাকে। জনসংখ্যা প্রবলভাবে বেড়ে যাবে এমন আশঙ্কা করে, সেদেশে এক দম্পতির ২ সন্তানের নির্দেশিকার পথে হাঁটে বেজিং। এর জেরে সুফলও পায় চিন।
পরিসংখ্যানে হাড়হিম করা তথ্য
চিনের জনসংখ্যা নিয়ে কী পরিস্থিতি হয়েছে, তার নিরিখে দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী মানুষদের ক্ষেত্রে চিনে জনসংখ্যার ৭ শতাংশ কমতি রয়েছে। ৫ শতাংশ বেড়েছে দেশে ষাটোর্ধদের সংখ্যা। দেখা যাচ্ছে একটি পরিবারের গড় পরিমাপ ২.৬২। গত ১০ বছর আগে এই পরিসংখ্যান ছিল ৩.১০ জনের ।
নেপথ্যে কোন কারণ থাকতে পারে?
প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা বলছেন ,বহু ক্ষেত্রে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনার জন্য জনসংখ্য়ার হার নামছে। ২০১৭ সালের পর থেকে সেদেশে দন্মের হার হু হু করে নেমেছে। অনেক ক্ষেত্রে সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনেকেই সন্তানদের জন্ম দিতে চাইছেন না। এই সমস্ত কারণের জেরে চিনে নামছে জনসংখ্যার বৃদ্ধির গতি।