হংকং-এর ইতি! চিনের নতুন আইন প্রণয়নে বিতর্ক চরমে
হংকং চিনের 'বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল', যেখানে 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' নীতি চালু রয়েছে। গত বছরের জুন মাসে চিন প্রস্তাবিত একটি অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় অঞ্চলটিতে। পরে চিন এ বিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তারপরও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক হংকংয়ের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।
ফের রাস্তায় হংকংবাসী?
এবার ফের সেই আন্দোলন শুরু হওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে হংকং। এরকমই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, চিনের কংগ্রেসে বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভায় বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন উপস্থাপন করতে যাচ্ছে চিনা সরকার।
বেজিংয়ের সিদ্ধান্তে হংকংয়ের ইতি
সাধারণত চিনের শীর্ষ নেতার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোরই চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় কংগ্রেসের এ বার্ষিক সভায়। গণতন্ত্রপন্থিদের দাবি, চিনের নতুন আইন হংকংয়ের ‘ইতি টানবে' অর্থাৎ অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার অবসান ঘটাবে। ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর এটি এখন পর্যন্ত হংকংয়ের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা।
২০০৩ সালেও হয়েছিল চেষঅটা
হংকংয়ের নির্বাচিত শীর্ষ আইনপ্রণেতাদের মতামত ছাড়াই আইনটি প্রণয়ন করতে পারে চিন। ২০০৩ সালেও এমন একটি আইন প্রণয়নের চেষ্টা করেছিল চীন। এর প্রতিবাদে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। সেই গণবিক্ষোভের মুখে চিনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
গণতন্ত্রের দাবিতে সরব হংকং
বর্তমানে চিনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে আরও উচ্চতর গণতন্ত্র ও বাক প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে হংকংয়ে। তবে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের আশঙ্কা, চিন যেভাবে কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধীদের দমন করে, সেভাবেই বিক্ষোভ দমন করতে এ আইন ব্যবহার করা হতে পারে।
করোনা ছড়ানোর দায়ে কড়া শাস্তি, চিনকে একঘরে করার প্রক্রিয়া শুরু আমেরিকার!