দক্ষিণ চিন সাগরের কায়দায় অরুণাচল দখলের পরিকল্পনা চিনের!জেনে নিন বিস্তারিত
একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে চিন দক্ষিণ চিন সাগরের ধাঁতেই অরুণাচল প্রদেশ দখল করার পরিকল্পনা করেছে।
দক্ষিণ চিন সাগরের কায়দায় ভারতের হাত থেকে অরুণাচল প্রদেশকে ছিনিয়ে নেবে চিন। হংকঙ-এর এক সংবাদ মাধ্যমের অন্তর্তদন্তে এ তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে। অরুণাচলের সীমান্তের ওপাড়ে চিনের লুনসে প্রদেশে সোনা-রূপোর মতো দামী আকরের খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেখানে খননের কাজ শুরু করেছে চিন। রাস্তা, টানেল লোকবসতিতে জমজমাট হয়ে উঠছে চিনের এই ঘুমন্ত প্রদেশ। তাদের আশঙ্কা এভাবেই স্থাপনা ও সৈন্য বাড়িয়ে অরুণাচল প্রদেশ দখল করবে তারা।
বেজিং-এর এক ভূত্ত্ববিদ ঝেং ইয়োই জানিয়েছেন সম্প্রতি চিন উত্তর বিমালয়ে অঞ্চলে খনি-সমিক্ষা চালিয়েছিল। তখনই খনিটির সন্ধান মেলে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ওই খনির আকরের মোট দর ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। কিন্তু ওই খনিটিকে কেন্দ্র করে চিন যে পরিমাণ অর্থ ঢালছে, তা দেখেই বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, দক্ষিণ চিন সাগরের ধাঁচেই অরুণাচল দখলের পরিকল্পনা করেছে বেজিং। তাঁরা বলছেন দক্ষিণ চিন সাগরে আজ চিনের যে কর্তৃত্ব, এক দশক আগেও তা ভাবা যেত না। কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ গড়েছে চিন। নৌবহর মোতায়েন করে সাগরটির বেশিরভাগ অংশের দখল নিয়েছে তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন প্রায় হাজার বছরেরও বেশি আগে থেকে হিমালয় পর্বতমালায় খনন কার্য হয়েছে। কিন্তু সেদিনের মতো আজও এই পর্বতমালায় খননের কাজটা চালানো যথেষ্ঠ কষ্টসাধ্য। কিন্তু লুনসের উন্নয়নে বিপুল খরচা করে সেই কাজ হাতের মোয়া বানিয়ে ফেলছে বেজিং। তিব্বতের আরও কয়েকটি জয়গাতেও খননের কাজ চললেও গত বছেরর শেষ থেকেই লুনসেই যাবতীয় আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে। প্রায় প্রতিটি গ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে পাকা রাস্তা। প্রায় সীমানা ঘেসেই পাহাড়ের গায়ে খোঁড়া সুগভীর একেকটি সুড়ঙ্গ। তার থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে হাজার হাজার টনের আকর তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে জনসংখ্যা। তার হিসাব অবধি রাখা যাচ্ছে না।
পাশাপাশি চিন বরাবরই অরুণাচলপ্রদেশকে তাদের এলাকা বলে দাবি করে। তারা প্রদেশটিকে দক্ষিণ তিব্বত বলে উল্লেখ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের সময় চিন সেনা অরুণাচলের ছেড়ে গেছিল, কারণ সেখানে তাঁদের কোনও বাসিন্দা ছিল না। বসতি ছিল না। কিন্তু অরুণাচলার দাবি তারা কখনই ছাড়েনি। তার ওপর তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি বার বার বলেছেন দেশের প্রতি ইঞ্চি জমির জন্য তাঁরা লড়বেন। 'দক্ষিণ তিব্বত' যে সেই পরিকল্পনার অন্যতম অংশ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।