মোদী লাদাখে পা রাখতেই বুক কেঁপে উঠল চিনের! প্রধানমন্ত্রীর লেহ সফর নিয়ে কী বলল বেজিং?
এদিন ভোরেই সবাইকে চমকে দিয়ে লেহ-র নিমুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। বায়ুসেনা, আটিবিপি-র সঙ্গে কথা বলেন মোদী। সেনা আধিকারিকরা পরিস্থিতির কথা জানান তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সিডিএস বিপিন রাওয়াত পূর্ব লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন প্রধানমন্ত্রীকে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ভালো চোখে দেখল না চিন
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ভালো চোখে দেখল না চিন। লেহ সফর নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এই বিষয়ে বলেন, 'ভারত ও চিন সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে যোগাযোগ এবং আলোচনা করছে। এই মুহুর্তে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপে কোনও পক্ষকেই অংশ নেওয়া উচিত নয়।'
ভারতীয় সেনাকে তাতিয়ে তোলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে চিনের তোয়াক্কা না করে এদিন ভারতীয় সেনাকে তাতিয়ে তোলেন প্রধানমন্ত্রী। সেনার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, 'আপনাদের বাহাদুরি অতুলনীয়। আপনার সাহস সেই সর্বোচ্চ অঞ্চলের চেয়ে বেশি যেখানে আপনারা সবাই অবস্থান করছেন। আপনাদের বাহু আপনাকে ঘিরে থাকা পাহাড়ের মতো শক্তিশালী। আপনার আত্মবিশ্বাস, সংকল্প এবং বিশ্বাস এখানের শিখরের মতো অটল।'
সম্প্রসারণবাদের যুগ শেষ
এরপর চিনের নাম না করে মোদী বলেন, 'সম্প্রসারণবাদের যুগ শেষ, এটাই বিকাশের যুগ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে সম্প্রসারণবাদী শক্তিগুলি হেরে গেছে বা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আমরা একই মানুষ যারা বংশীধারী ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করি। তবে আমরা প্রয়োজনে শ্রীকৃষ্ণকে সুদর্শন চক্র বহন করে বিনাশ করতে দেখেছি।'
লাদাখের উন্নয়ন
এরপর লাদাখের উন্নয়ন নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সীমান্ত অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় তিনগুণ বাড়িয়েছি। আমি আমার সামনে মহিলা সৈন্যদের দিকে তাকিয়ে আছি। সীমান্তের যুদ্ধক্ষেত্রে এই দৃশ্যটি অনুপ্রেরণাজনক, আজ আমি আপনার গৌরবের কথা বলছি।'
এই চমক হয়ত আশা করেনি বেজিং
আগে কথা ছিল যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ পরিদর্শনে যাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাপ্রধান মুকুন্দ নারভানে। তবে শুক্রবারের সেই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। চিনের পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় দিল্লি। আর সেই দেখে খেলার নীতি অনুসরণেই শুক্রবারের সফর বাতিল করার কথা জানায় রাজনাথের মন্ত্রক। তবে সীমান্ত সমস্যার মধ্যে কেন্দ্রের এই চমক হয়ত আশা করেনি বেজিংও।
চিনা অ্যাপ ব্যান করেও খান্ত হয়নি ভারত! বেজিংয়ের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে কোন পদক্ষেপ দিল্লির