দক্ষিণ চিন সাগরের বুকে রণদামামা বাজিয়ে মিসাইল নিক্ষেপ চিনের! আমেরিকাকে কোন জবাব দিল জিনপিং ক্যাম্প
২৪ ঘণ্টা আগেই খবর হয়েছিল যে বেজিং অভিযোগ তুলেছে চিনের আকাশে মার্কিন গুপ্তচর বিমান ঘোরাফেরা করেছে। আর তার পরই এদিন 'সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট' দাবি করেছে যে দক্ষিণ চিন সাগরে এক তাবড় মিসাইল নিক্ষেপ করেছে চিন। যার কূটনৈতিক নিশানা অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
চিনের মিসাইল নিক্ষেপ
'সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট' এর খবর অনুযায়ী, বেজিং একটি ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালাস্টিক মিসাইল এদিন নিক্ষেপ করেছে। কুইংঘাই প্রভিন্স থেকে তারা ডিএফ -২৬ বি , ডিএফ ২১ ডি মিসাইল নিয়ে নিশানা বাঁধে।
কীসের জবাব দিল চিন?
উল্লেখ্য, এই মিসাইল মূলত যুদ্ধবিমান ধ্বংসে কার্যকরী ক্ষমতা দেখাতে পারে। আর তার জেরেই দুটি পর পর মিসাইল উৎক্ষেপণ বলে খবর। এর আগে , মার্কিন গুপ্তচর বিমান তাদের সীমানায় ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ করে চিন। এদিন তারই জবাব বেজিং দিতে পেরেছে বলে দাবি, 'সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট' ।
এর আগে কী ঘটেছে?
বেজিংয়ের দাবি, মার্কিন গুপ্তচর বিমান ইউ-টু চিনের নোফ্লাই জোনের মধ্যে দিয়ে উড়ে গিয়েছে সদ্য়। খুব উচ্চতায় উড়তে পারে এই সুদক্ষ বিমানগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম 'চোখ' বলা যায়। আর সেই চোখ দিয়েই চিনের অন্দরে নজর রাখছে আমেরিকা, বলে দাবি করেছে বেজিং। উল্লেখ্য, আমেরিকার এই গুপ্তচর বিমান ৭০ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে, কোনও মিসাইল হামলার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে। ফলে চিনের কাছে এটি বড় 'হুমকি' হয়ে উঠছে।
তাইওয়ানে চিনের বিমান!
এই মাসের শুরুতে তাইওয়ানে মার্কিন প্রতিনিধি আসতেই তাইওয়ানের আকাশসীমার কাছে চিনা যুদ্ধবিমান দেখা গেল। এদিন তাইওয়ান প্রণালীর মিডল লাইন পার করে চিনের যুদ্ধ বিমান। আর সেই ঘটনা ফের একবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাপটের আস্ফালনকেই প্রমাণ করছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে চিন অভিযোগ করেছিল যে , সেদেশের আকাশে রাতের অন্ধকারে মার্কিন কিছু যুদ্ধবিমানও ঘোরাফেরা করেছে।