তিব্বতে ব্রিজের নাম নিয়েও গালওয়াল সংঘর্ষের তাস, লাদাখ নিয়ে নতুন করে উত্তাপ বাড়াল বেজিং
তিব্বতে ব্রিজের নাম নিয়েও গালওয়াল সংঘর্ষের তাস, লাদাখ নিয়ে নতুন করে উত্তাপ বাড়াল বেজিং
তিব্বতে চারটি ব্রিজের নাম রাখল বেজিং। তাতেও সেই লাদাখ তাস খেলেছে বেজিং। তিব্বত-ঝিনঝ্যাং হাইওয়ের উপরে রয়েছে এই চারটে ব্রিজ। এই হাইওয়ের উপরে রয়েছেন ১১িট ব্রিজ। এই হাইওয়ের একটি অংশ গিয়েছে আকসাই চিন দিয়ে।
এক কথায় বলতে গেলে ভারত-চিনের সীমান্ত বরাবর গিয়েছে এই হাইওয়েটি। সেকারণেই এই হাইওয়ের ব্রিজগুলির নাম গালওয়ান সংঘর্ষে নিহত সেনাদের নামে দিয়েছে বেজিং। তিব্বতকে চিনের ঝিনঝ্যাং প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করেছে এই আকসাই চিন। ১৯৫০ সালে এই ব্রিজটি তৈরি হয়েছিল। তাই নিয়ে ভারতের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই নাকি ১৯৬২-র যুদ্ধের সূচনা হয়।
গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের উত্তাপ এখনও কাটেনি দুই দেশের মধ্যে। ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছিল দুই দেশের। ২০২০ সালে জুন মাসে সেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সীমান্ত নজরদারির চুক্তি ভেঙে চিনা সেনা এগিয়ে আসে বলে অভিযোগ করে ভারত। তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারতীয় সেনা। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চাপান উতোর চলছিল। তারপরেই ঘটে সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। তাতে প্রায় ৭০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। চিনেরও একাধিক সেনা মারা যায়। তারপর থেকে লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে চিনের চাপানউতোর চলছে।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। কিন্তু ৯ দফায় সেনা পর্যায়ে বৈঠক হলেও সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি। রীতিমত তাই নিয়ে চাপান উতোর তৈরি হয়েছে। কিছুতেই হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরাতে রাজি নয় বেজিং। ১৯৯৭ সালের পর থেকেই লাদাখ নিয়ে ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে চিনের। নতুন করে চিনেক কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। তারপরেই নতুন করে লাদাখ নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। লাদাখ সীমান্তে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
লাদাখ কাণ্ডের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি নতুন করে গালওয়ান সংঘর্ষকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে বেজিং। গালওয়ানে শহিদ ৫ জওয়ানের পরিবারকে বিশেষ সম্মান দিয়েছে জিনপিং সরকার। লাদাখে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে লাদাখ নিয়ে চিনের তৎপরতায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত।