হংকংয়ের প্রধানের পদ থেকে ক্যারি ল্যামকে সরাতে পারে চিন
হংকংয়ের প্রধানের পদ থেকে ক্যারি ল্যামকে সরাতে পারে চিন
হংকংয়ের প্রধানের পদ থেকে সরানো হতে পারে ক্যারি ল্যামকে। তাঁর স্থানে নিয়োগ করা হতে পারে অন্তর্বর্তিকালীন কোনও চিফ এক্সিকিউটিভকে। চলতি বছরের জুন মাস থেকে হংকংয়ে চলতে থাকা গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলনকে বাগে আনতে না পারার কারণেই হয়ত এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে চিন সরকার।
সূত্রের খবর, চিনের প্রেসিডেন্ট আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ল্যামকে পদ থেকে সরাতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে নতুন প্রশাসনিক প্রধানের মেয়াদকাল হবে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এই মুহূর্তে ল্যামের পরবর্তী হিসাবে চিনের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন হংকংয়ের প্রাক্তন অর্থনৈতিক বিষয়ক আধিকারিক নরম্যান চ্যান, প্রশাসনের বর্তমান মুখ্য সচিব তথা প্রাক্তন অর্থনৈতিক সচিব হেন্রি ট্যাঙ।
চলতি বছরের জুনে হংকংয়ে বন্দিপ্রত্যর্পণ বিলকে ঘিরে আশান্তির সূত্রপাত৷ বিলে বলা হয়, হংকংয়ে কেউ কোনও অপরাধ করলে চিনের মূল ভূখণ্ডে তার বিচার করা যাবে৷ হংকংবাসীদের আশঙ্কা ছিল, কেউ চিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালে কড়া শাস্তি দিতেই এই বিল আনা হয়েছে৷ এই বিল প্রত্যাহারের দাবিতে হংকংয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ প্রতিবাদের মুখে বিলটি স্থগিত করা হলেও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। পরে গত মাসের প্রথমদিকে বিলটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এতেও প্রতিবাদীদের ক্ষোভ কমেনি। পূর্ণ গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ঠুরতা ও অন্যান্য অভিযোগেরও তদন্ত দাবি করছে।
এতে থেমে না থেকে ক্যারি ল্যামের পদত্যাগ চেয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন হংকংয়ের অসংখ্য বাসিন্দা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গণতান্ত্রিক সংস্কারও করতে হবে হংকংয়ের স্বশাসিত সরকারের। হংকংয়ের জনগণের অভিযোগ, প্রশাসক লাম নিমিত্তমাত্র, পর্দার আড়ালে আসলে কলকাঠি নাড়ছে বেজিং।
এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনও সরকারি ভাবে কোনও বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি চিনের পক্ষ থেকে। তবে এই পরিস্থিতির জন্য বেজিং অভিযোগের আঙুল তুলেছে আমেরিকা ও ব্রিটেনের দিকে।
পাকিস্তানে ভাঙা হচ্ছে হিন্দু মন্দির, দাবি মানবাধিকার কর্মীর ফতিমার