যে চিন থেকে ছড়িয়েছে করোনা, সেখানেই এখন মাস্ক মুক্ত জীবন কাটাচ্ছেন মানুষ
যে চিন থেকে ছড়িয়েছে করোনা, সেখানেই এখন মাস্ক মুক্ত জীবন কাটাচ্ছেন মানুষ
ভারত যখন করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভের আতঙ্কে কাঁটা ঠিক তখনই চিন কিন্তু মাস্ক ফ্রি হয়ে গিয়েছে। অথচ এই চিন থেকেই ছড়িেয়ছিল করোনা ভাইরাসের মতো মারণ ভাইরাস। মাস্ক ফ্রি দেশের তালিকায় রয়েছে আরও অনেক দেশ। আমেরিকা, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে রয়েছে ইজরায়েল। হাউইও।
মাস্ক মুক্ত চিন
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছিল গোটা দেশে। সেই িচনেই এখন মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন মানুষ। যেসব দেশ প্রথম মাস্ক ছাড়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে চিনও। যেখানে পর্যাপ্ত হাওয়া বাতাস রয়েছে সেখানে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। দোকানে বাজারে, উৎসবে অনুষ্ঠানে মাস্ক না পরলেও চলবে বলে জানানো হয়েছে। নতুন গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, যাঁদের জ্বর বা পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান, জন্মদিন বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে সামিল না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকা, নিউজিল্যান্ডও মাস্ক ফ্রি
আমেরিকা এবং নিউজিল্যান্ডও করোনাকে হারিয়ে মাস্ক ফ্রি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা করেছেন যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের মাস্ক পরার কোনও প্রয়োজন নেই। কাজেই সেখানে মাস্কের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে প্রায়। তবে বাস, ট্রেন, বিমান এবং অন্যান্য গণ পরিবহণে মাস্ক পরা বাধ্যতা মূলক করা হয়ছে। নিউজিল্যান্ডও আমেিরকার মতো মাস্ক ফ্রি হয়ে গিয়েছে। প্রথম দিেক করোনা সংক্রমণ তেমন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি নিউজিল্যান্ড সরকার। এই নিয়ে জেসিন্ডা আর্ডেনের বিপুল সমালোচনা হয়েছিল। তারপরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে করোনা ভাইরাস।
মাস্ক মু্ক্ত ইজরায়েল, ভুটানও
করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে মাস্ক মুক্ত ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভুটানও। লকডাউন ছাড়াই করোনা ভাইরাসকে জব্দ করেছে ভুটান। শুধু মাত্র সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করেছিল ভুটান সরকার। তারসঙ্গে দ্রুত হয়েছে টিকাকরণ। প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সাফল্যই ভুটানকে মাস্ক মুক্ত হয়ে রয়েছেন মানুষ। একই ভাবেই ইজরায়েলেও। ইজরায়েল প্রথম দেশ যে নিজেকে করোনা ফ্রি বলে ঘোষণা করেছিল। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষেরই করোনা টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। তারপরেই মাস্ক পরার বিধিনিষেধ মুক্ত করেছে ইজরায়েল সরকার।
মাস্ক মুক্ত হাওয়াইও
মাস্ক না পরেই ঘুরছেন হাওয়াই দ্বিপের বাসিন্দারা। সেখানে অনেকটাই কমে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তারপরেই সেখানকার সরকার মাস্ক পরার বাধ্যতামূলক নিয়ম লঘু করেছে। খোলা ফাঁকা জায়গায় মাস্ক না পরে ঘোরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের।