শ্রীলঙ্কাতেই নোঙর চিনের 'গুপ্তচর' জাহাজের! কেন ভারতের ভয়ের কারণ Yuan Wang 5
ভারতের চিন্তা বাড়াল শ্রীলঙ্কা! বিতর্কিত চিনা জাহাজকে নোঙর করার অনুমতি দিল প্রতিবেশী এই দেশ। সেই মতো শ্রীলঙ্কার বন্দরেই বিতর্কিত ওই জাহাজ ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ খুব সহজেই ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলির উপর নজরদারি চালাতে
ভারতের চিন্তা বাড়াল শ্রীলঙ্কা! বিতর্কিত চিনা জাহাজকে নোঙর করার অনুমতি দিল প্রতিবেশী এই দেশ। সেই মতো শ্রীলঙ্কার বন্দরেই বিতর্কিত ওই জাহাজ ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ খুব সহজেই ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলির উপর নজরদারি চালাতে পারবে এই জাহাজ।
চিনের এই জাহাজটির ১১ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তির পর শ্রীলঙ্কা চিনা জাহাজটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্দরে আসতে কার্যত নিষেধ করা হয়েছে।
১৬ অগাস্ট ওই জাহাজ পৌঁছবে
ভারতের চিন্তা বাড়িয়েছে এই জাহাজ। কারণ ভারতের উপর নজরদারি করার জন্যে এই জাহাজকে ব্যবহার করা হতে পারে। এই বিষয়ে চিনকে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভারতের উদ্বেগকে মাথায় রেখে চিনা জাহাজের দাদাগিরি বন্ধ করে দিয়েছিল লঙ্কা। কিন্তু এখন আবারও চিনা গুপ্তচর জাহাজকে হাম্বানটোটা বন্দরে আসতে দেওয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার হারবার মাস্টার নির্মল পি সিলভা জানিয়েছেন, এই জাহাজটি বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। জাহাজটি ১৬ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত হাম্বানটোটা বন্দরে থাকবে। আর সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
চিনা জাহাজ ইউয়ান ওয়াং পাঁচ গুপ্তচরবৃত্তি করে থাকে-
চিনা জাহাজ ইউয়ান ওয়াং চিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি যুদ্ধ জাহাজ। এই জাহাজ স্পেস এবং স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং করতে বিশেষ ভাবে সক্ষম। চিন ইউয়ান ওয়াং শ্রেণীর জাহাজের মাধ্যমে স্যাটেলাইট, রকেট এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (ICBMs) উৎক্ষেপণকেও খুব সহজে ট্র্যাক করতে পারে। চিনের কাছে এমন সাত ধরণের জাহাজ রয়েছে। জেগুলি কি পুরোদমে প্রশান্ত, অটলান্টিক এবং হিন্দ মহাসাগরে কাজ করতে পারে। এই জাহাজগুলি গুপ্তচরবৃত্তি করে এবং বেজিংয়ের ল্যান্ড-ভিত্তিক ট্র্যাকিং স্টেশনগুলিতে সম্পূর্ণ তথ্য পাঠায়।
৭৫০ কিমি দূর থেকেও ট্র্যাক করা যায়-
নজরদারি ইউয়ান ওয়াং-৫ সামরিক নয় বরং একটি শক্তিশালী ট্র্যাকিং জাহাজ। চিন কিংবা কোনও দেশ যখন মিসাইল পরীক্ষা করে সেই সময়ে এই জাহাজকে কাজে লাগানো হয়। এই জাহাজ খুব সহজেই অন্তত সাড়ে ৭৫০ কিমি দূরে থাকা বস্তুকে ট্র্যাক করে ফেলতে পারে। এটিতে একটি বড় প্যারাবোলিক ট্র্যাকিং অ্যান্টেনা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের সেন্সর রয়েছে। এর অপারেশনের জন্য 400 জনের বেশি ক্রু প্রয়োজন হয়ে থাকে।
সমগ্র দক্ষিণ ভারত ইউয়ান ওয়াং 5 ট্র্যাক করতে পারবে
হাম্বানটোটা বন্দরে পৌঁছানোর পর ইউয়ান ওয়াং-৫-এর আওতায় চলে আসবে দক্ষিণ ভারতের প্রধান সামরিক ও পারমাণবিক ঘাঁটি কালপাক্কাম, কুদানকুলাম। এমনকি কেরল, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রবেশের মতো একাধিক বড় শহর চিনের র্যাডারে চলে আসবে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের প্রধান নৌ ঘাঁটি ও পারমাণবিক কেন্দ্রে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য এই জাহাজ শ্রীলঙ্কায় পাঠাচ্ছে চিন।