চিন সংহারে ভারত-জাপান একজোট! লাদাখ সংঘাতের মাঝে স্বাক্ষরিত হল নয়া চুক্তি
চিন সংহারে ভারত-জাপান একজোট! লাদাখ সংঘাতের মাঝে স্বাক্ষরিত হল নয়া চুক্তি
চিনের বিস্তারবাদী ভাবধারা মোটেও সহজে নিচ্ছে না ভারত। বেজিং যেভাবে এশিয়ার বুকে জল থেকে শুরু করে স্থলে ক্রমাগত নিজের বিস্তার বাড়াচ্ছে , তাতে কড়া নজর রেখে যাচ্ছে দিল্লি। শুধু যে ভারতের এলাকা দখল করার উদ্যোগ নিচ্ছে চিন, তা নয়, জাপান সীমান্তেও জলসীমায় কিছু দ্বীপের দিকে লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে বেজিংয়ের। এমন অবস্থায় ভারত ও জাপান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ভারত-জাপান চুক্তি
ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার ও জাপানের রাষ্ট্রদূত সচিব সুজুকি সতোশি একটি চুক্তি সদ্য স্বাক্ষর করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সমঝোতায় ইন্দোপেসিফিক এলাকায় দুটি দেশ পরস্পরকে রসদ সরবরাহ করবে যে কোনও প্রয়োজনে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
নিশানায় চিন
চিন যেভাবে দক্ষিণ চিন সাগর জুড়ে ক্রমাগত আগ্রাসন ও আস্ফালনের আশ্রয় নিচ্ছে, তা জাপান ও ভারত ভালোভাবে নেয়নি। সেক্ষেত্রে এই সাম্প্রতিক চুক্তির হাত ধরে সেনা সংক্রান্ত রসদ ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমঝোতা সাগর জলের সংঘাতে বড় ভূমিকা নেবে। এমনকি দ্বিপাক্ষিক সেনামহড়ার সমঝোতাতেও এসেছে দুটি দেশ।
ভারত আর কোন দেশের সঙ্গে এইভাবে সংঘবদ্ধ?
এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারত এমন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এরফলে দ্বিপাক্ষিকভাবে এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতও নিজের পেশীবল পোক্ত করেছে। এর আগের ২০১৬ সালে আমেরিকা, ২০১৮ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারত এই ধরনের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়।
চুক্তি কিভাব ভারতকে সাহায্য করবে?
উল্লেখ্য, যেভাবে চিন আগ্রাসন বাড়াচ্ছে , তার দিকে নজর রেখে ভারত মহাসাগর এলাকায় বিশ্বের একাধিক দেশের সংলগ্ন অঞ্চলে ভারত প্রয়োজনে ঘাঁটি গাড়তে পারবে। তারমধ্যে জিবৌতি, সুবিক বে, পশ্চিম পেসিফিক এলাকা গুলি রয়েছে। অন্যদিকে চিনও নিজের সামুদ্রিক শক্তি বাড়িয়ে পাকিস্তানের করাচি বন্দরকে পাখির চোখ করে রেখেছে। যা লাদাখ উত্তেজনার মধ্যে চিনের জন্য কার্যকরী অস্ত্র।
পরিস্থিতি বদলের জের, প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যোগ নয়া ধারা