পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি চিনে! করোনা নিয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে কমিউনিস্ট সরকার?
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তেই এটিকে একটি জৈব অস্ত্র আখ্যা দিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করে চিন ও আমেরিকা। এরই মধ্যে চিনে ৩২০০ জনেরও বেশি এই করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে মারা যায়। আক্রান্ত হয় প্রায় ৮১ হাজার। তবে এখন পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভালো বলে দাবি চিনের কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে কোনও সংক্রমণের খবর নেই বলে জানানো হচ্ছে।
চিনের দাবি, স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি
বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাবে ইতিমধ্যেই ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন। এদের মধ্যে চিনে মারা গিয়েছে ৩২৪৫ জন। তবে চিনের দাবি, সেদেশে আর কোনও স্থানীয় আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি। তবে দেশের বাইরে থেকে আসা ৩৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
খবর চেপে রেখেছে চিনের কমিউনিস্ট সরাকর ?
এদিকে এত বিশাল সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হলেও সেই তুলনায় চিনে মৃত্যুর হার কিন্তু আদতে কম। ৮১ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ইতিমধ্যেই সেরে উঠেছেন ৭১, ১৫০ জন। এই পরিস্থিতিতে এই সংক্রমণ ঠেকাতে চিনের দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। কারণ এখনও এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ নেই। তবে চিনের এই সব দাবি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আদেও কি করোনা প্রকোপ থেকে নিজেদের বাঁচাতে পেড়েছে চিন? না কি সেখানকার কমিউনিস্ট সরাকর খবর চেপে রেখেছে বাকি বিশ্ব থেকে?
ফের স্বমহিমায় চিনের কারখানা?
চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশে ২৪ ফএব্রুয়ারি দাবি করা হয় যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের আগের ক্ষমতার ৯৮.৬ শতাংশ কাজ তারা ফের করতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু যেখানে প্রতিদিন এত মানুষ মরছে সেখানে এই হারে উৎপাদন কী ভাবে সম্ভব? এরই মধ্যে এক হুইসেলব্লোয়ার যে কি না চিন সরকারের কর্মচারী, দাবি করেন, আসলে এই পুরো বিষয়টি জালিয়াতের সামিল।
কী বলছে হুইসেলব্লোয়ার?
চিনের হুইসেলব্লোয়ার বলেন, 'বেজিং থেকে ঝেডিয়াংয়ের বাণিজ্যিক গতিবিধি বুঝতে বিদ্যুৎ খরচের উপর লক্ষ্য রাখছে। আর এই কারণেই ফাঁকা কারখানাতেই সব আলো, পাখা মেশিন চালু রাখা হচ্ছে। তবে সেখানে কোনও মানুষই কোনও কাজ করছে না। তা সত্ত্বেও সব স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।'
কী পরিস্থিতি উহানে?
এদিকে কয়েকদিন আগে উহান গিয়েছিলেন চিনের প্রিমিয়ার শি জিনপিং। এক স্থানীয়র এই বিষয়ে দাবি, যখন জিনপিং আসেন তখন উহানের সব ব্যবস্থাপনা বদলে যায়। সব ব্যবস্থাপনা ভালো ভাবে দেখানো হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। তবে সেগুলি শুধু তাঁদের দেখানোর জন্য। আদতে সেরকম কোনও ব্যবস্থাই সাধারণ মানুষের জন্য ছিল না।