ফের লাদাখ সীমান্তে রসদ বাড়াচ্ছে বেজিং, নাগরি গুনসা এয়ারবেসে নামল ফাইটার জেট
ফের লাদাখ সীমান্তে রসদ বাড়াচ্ছে বেজিং, নাগরি গুনসা এয়ারবেসে নামল ফাইটার জেট
১৬ তম বৈঠকও ব্যর্থ হয়েছে। কিছুতেই ভারতের প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না বেজিং। এবার আবার লাদাখের নাগরি গুনসা এয়ারবেসে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে চিন। লাদাখ সীমান্তে প্যাংগং সো থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চিনের এই এয়ারবেস। সূত্রের খবর সেখানে নাকি ইউএভিও মোতায়েন করেছে চিনা ফৌজ।
লাদাখে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন
লাদাখ সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সূত্রের খবর লাদাখে চিন শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। প্যাংগং সো হ্রদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে নাগরি গুনসা এয়ারবেসে শক্তি বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে বেজিং। হঠাৎ করে লাদাখ সীমান্তে চিনা ফৌেজর এই তৎপরতায় জল্পনা বাড়িয়েছে। জানা গিয়েছে সেখানে ইউএভি মোতায়েন করা হয়েছে। একের পর এক অত্যাধুনিক ফাইটার জেট মজুত করছে চিনা ফৌজ।
নতুন করে শঙ্কা বাড়াচ্ছে বেজিং
হঠাৎ করে লাদাখ সীমান্তে এয়ারবেসে বেজিংয়ের এই শক্তি বৃদ্ধি কপালে ভাঁজ ফেলেছে ভারতীয় সেনার। প্রতিমুহূর্তে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন সীমান্তের প্রহরীরা। কয়েকদিন আগেই লাদাখ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল চিনা ফৌজ। তাতে আবারও উত্তেজনা চড়েছিল। ভারতীয় সেনা দক্ষতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারপর থেকে বেশ উত্তেজনা প্রবণ হয়ে রয়েছে লাদাখ সীমান্ত। তারপরে নতুন করে লাদাখ সীমান্তে চিনের শক্তিবৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে ভারতীয় সেনাকে। কয়েকদিন আগেই সেনা প্রধান জেনারেল নারাভানে লাদাখ সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন।
বৈঠক ব্যর্থ
গত ১০ অক্টোবর লাদাখ সীমান্ত নিয়ে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের সেনা। কিন্তু সেনা পর্যায়ের বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর যে প্রস্তাব ভারত দিয়েছিল তাতে রাজি হয়নি বেজিং। যার জন্য এক প্রকার ব্যর্থই হয়েছিল চিনের সঙ্গে ভারতের বৈঠক। বারবার আলোচনাতেই মিলছে না সমাধান সূত্র। নতুন করে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
আফগানিস্তানের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা
আফগানিস্তানের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে। তালিবানদের সমর্থন জানিয়েছে চিন। তাতেই ঘুম উড়েছে ভারতের। এবার চিন সীমান্তেও জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেকারণেই বারবার সেনা প্রধান চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমঝোতা পোক্ত করার বার্তা দিয়েছেন। সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সীমান্ত চুক্তি পোক্ত করা জরুরি বলে মনে করছেন সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে।
প্রতীকী ছবি