মার্কিন-চিন যুদ্ধ পরিস্থিতি উস্কে চিন সাগরে 'লাইভ ফায়ার ড্রিল' বেজিংয়ের! সাগরে আগ্রাসন কোনপথে
মার্কিন-চিন যুদ্ধ পরিস্থিতি উস্কে চিন সাগরে 'লাইভ ফায়ার ড্রিল' বেজিং এর! সাগরে আগ্রাসন কোনপথে
চিন সাগরে চিনের দখলদারি রুখতে কার্যত এককাট্টা আমেরিকা, অস্ট্রেলিা, ব্রিটেন। এমনকি জাপান ও ভারতও সঙ্গে রয়েছে এমন শিবিরের। আর এই দেশগুলি থেকে বারবার চিন সাগরে বেজিং এর দখলদারি নিয়ে বাধা আসলেও, তা মানতেই চাইছে না বেজিং। এরইমধ্যে দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজ নতুন পদক্ষেপ শুরু করেছে।
লাইভ ফায়ার ড্রিল
দক্ষিণ সাগর এলাকার মুখেই চিনের গুয়াংডং প্রভিন্সের লেইজৌ এলাকা। আর সেখানের জলসীমাতেই এবার লাইভ ফায়ার ড্রিল শুরু করে দিল চিন। দক্ষিণ চিন সাগরের দোরগোড়ায় চিনের এমন পদক্ষেপ গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নজর কার্যত নিজের দিকে করে নিয়েছে।
কী ঘটছে লাইভ ফায়ার ড্রিলে?
লাইফ ফায়ার ড্রিলে লালফৌজের অ্যান্টি শিপ, অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট মহড়া চলছে। কোনও যুদ্ধবিমান চিন সাগরে উঁকি মারলেই তাকে কিভাবে নিমেষে উড়িয়ে দেওয়া যাবে, তার পন্থা এই মহড়ায় দেখাচ্ছে চিন।
পম্পেওর হুঁশিয়ারি
এদিকে, বহুদিন ধরেই মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও, একের পর এক তোপ দাগছিলেন চিনের বিরুদ্ধে। করোনার আবহে তিনি প্রথম থেকেই চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন, রোগের সংক্রমণের জন্য। এবার সাফ বার্তায় পম্পেও জানিয়ে দিয়েছেন,' দক্ষিণ চিন সাগর চিনের একার সাম্রাজ্য নয়।'
আমেরিকা ও চিনের জলসীমা
কেয়কদিন আগে আন্দামানের কাছে দক্ষিণ চিন সাগরের জলসীমার কাছে ভারত ও আমেরিকা যৌথ সেনা মহড়া করে। সেই ঘটনা সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপকভাবে নজর কাড়ে কূটনৈটিকমহলে। এদিকে, '..যদি বেজিং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে..আর তারপর স্বাধীন দেশগুলি কোনও পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ইতিহাস বলছে সিসিপি আরও ভূখণ্ড দখল করবে।' এভাবেই এদিন হুঙ্কার দিয়েছেন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও। কার্যত সরাসরিই চিনকে তিনি দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে আমেরিকার অবস্থান অবহিত করে রাখলেন এই বার্তায়।
চিনকে মোক্ষম জবাব দিতে আগামী সপ্তাহেই বড়সড় পদক্ষেপে ভারত! লাদাখ ঘিরে কী ঘটতে চলেছে