বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সেনাবাহিনী কোন দেশের! ভারতের স্থান কত নম্বরে, সমীক্ষা রিপোর্ট
বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সেনাবাহিনী কোন দেশের! ভারতের স্থান কত নম্বরে, সমীক্ষা রিপোর্ট
বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ কোনটি, কোন দেশই বা প্রতিরক্ষায় এগিয়ে অর্থাৎ কাদের সেনাবাহিনী সবথেকে শক্তিশালী তা নিয়ে পর্যালোচনার শেষ নেই। আমাদের দেশের সামরিক শক্তি কত নম্বর স্থানে, তা জানার আগ্রহও কম নয়। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট মিলিটারি ডাইরেক্ট রবিবার একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। সেই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে কোন দেশ কত নম্বর স্থানে।
একুশে ধেয়ে আসতে পারে যে সব ঘূর্ণিঝড়, ১৬৯টি সাইক্লোনের তালিকায় কে করল নামকরণ
বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলীদের ভিড়, দলে উল্টো স্রোত বইয়ে যাঁরা 'বেসুরো’
বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সেনাবাহিনী কার
প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট মিলিটারি ডাইরেক্টের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে চিনের। বিশ্বের সবথেকে শক্তিধর দেশ হতে পারে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেনাবাহিনীর ক্ষমতা অনুয়ায়ী চিনই সেরা। আমেরিকা রয়েছে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে। বিশ্বের শক্তিধর দেশকে চিন সরিয়ে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।
ভারতের সেনাবাহিনী চিনের কত পিছনে
ভারতের প্রতিবেশী দেশ যখন এক নম্বর স্থানে, তখন ভারতের অবস্থান কোথায়? প্রথম দুই স্থান তো দখল করে নিয়েছে চিন ও আমেরিকা। চিনের সামরিক শক্তি যদি বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী হয়, তা তো ভারতের পক্ষে ভয়ের। তবে অতটা ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। ভারতের সেনাবাহিনী খুব একটা পিছিয়ে নেই।
ভারত কত নম্বরে, প্রথম পাঁচে কারা
প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট মিলিটারি ডাইরেক্ট রবিবার যে গবেষণাপত্র সামনে এনেছে তাতে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ হল ভারত। অর্থাৎ ভারতের সেনাবাহিনী বিশ্বের চতুর্থ শক্তি। বিশাল সামরিক বাজেট সত্ত্বেও আমেরিকা চিনের পিছনে থেকে গিয়েছে। তারপর রাশিয়ার আর তার ঠিক পরেই ভারত। ভারতের পরে আছে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড শীর্ষ দশের মধ্যে স্থান পেয়েছে।
কোন দেশের সূচক কত, একনজরে সমীক্ষা
গবেষণাপত্র অনুযায়ী আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। রাশিয়া ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় এবং ভারত ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম স্থানে রয়েছে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে। ইংল্যান্ড নবম স্থানে রয়েছে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে। চিন বিশ্বের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। সূচকের ১০০ পয়েন্টের মধ্যে তারা পেয়েছে ৮২।
চূড়ান্ত সামরিক শক্তি সূচক মূল্যায়ন
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাজেট, নিষ্ক্রিয় ও সক্রিয় সামরিক কর্মীদের সংখ্যা, মোট বায়ু, সমুদ্র, স্থল ও পারমাণবিক সংস্থান, গড় বেতন এবং সরঞ্জামাদি ওজন-সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনার পরে চূড়ান্ত সামরিক শক্তি সূচক মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এই স্কোরগুলির উপর ভিত্তি করেই চিনকে সুপার পাওয়ার বেছে নেওয়া হয়েছে।
কোন দেশে কোথায় এগিয়ে, বাজেটের অবস্থান
প্রতিবছর ৭৩২ বিলিয়ন ডলার বাজেটে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক ব্যয়কারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখানে উল্লেখ্য, চিন ২৬১ বিলিয়ন ডলার বাজেটে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তারপরে ভারতের মাত্র ৭১ বিলিয়ন ডলার বাজেট। এই সমীক্ষায় আভাস, চীন সমুদ্রপথে, আমেরিকা বায়ুপথে এবং রাশিয়া স্থলপথের যুদ্ধে জিতবে।
স্থলপথে, জলপথে, বায়ুপথে কে এগিয়ে কোথায়
সমীক্ষা অনুযায়ী, বিমান যুদ্ধে ১৪১৪১টি যুদ্ধবিমান নিয়ে আমেরিকা রাশিয়া ৪৬৮২ এবং চিনের ৩৫৮৭ যুদ্ধবিমানকে ধরাশায়ী করতে সক্ষম। রাশিয়া স্থলযুদ্ধে ৫৪৮৬৬টি ট্যাঙ্ক নিয়ে আমেরিকার ৫০,৩৬৬ এবং চিনের ৪১৬৪১টি ট্যাঙ্ককে উড়িয়ে করতে পারে। আর চিন সমুদ্র-যুদ্ধে ৪০৬টি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে রাশিয়ার ২৭৮ ও আমেরিকা বা ভারত ২০২টি যুদ্ধজাহাজকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
আকাশপথে যুদ্ধ হলে কার পাল্লা ভারী থাকবে
প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট মিলিটারি ডাইরেক্টের সমীক্ষা অনুযায়ী, আকাশ পথে অনেক এগিয়ে রয়েছে আমেরিকা। তাদের হাতে রয়েছে ১৪১৪১টি যুদ্ধবিমান। এই বিপুল সংখ্যক যুদ্ধবিমান নিয়ে আমেরিকা ধরাশায়ী করতে পারে রাশিয়া ও চিনকে। কেননা রাশিয়ার হাতে ৪৬৮২টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। আর চিনের হাতে রয়েছে ৩৫৮৭ যুদ্ধবিমান।
স্থলপথে যুদ্ধ হলে কার পাল্লা ভারী থাকবে
আকাশপথে যুদ্ধে আমেরিকার কাছে ধরাশায়ী হলেও রাশিয়া স্থলযুদ্ধে এগিয়ে রয়েছে। তাদের হাতে রয়েছে ৫৪৮৬৬টি ট্যাঙ্ক। স্থলপথে রাশিয়ার শক্তি আমেরিকা ও চিনের তুলনায় বেশি। আমেরিকার হাতে ট্যাঙ্ক রয়েছে ৫০,৩৬৬ এবং চিনের ৪১৬৪১টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। স্থলযুদ্ধে এই শক্তিকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে রাশিয়া।
জলপথে যুদ্ধ হলে কার পাল্লা ভারী থাকবে
আকাশপথে এবং স্থলপথে আমেরিকা ও রাশিয়ার থেকে চিন পিছিয়ে খাকলেও, চিনের শক্তি জলপথে অনেক বেশি। চিন সমুদ্র-যুদ্ধে অনায়াসে হারিয়ে দিতে পারে রাশিয়া বা আমেরিকাকে। চিনের হাতে রয়েছে ৪০৬টি যুদ্ধজাহাজ। সেখানে রাশিয়ার হাতে আছে ২৭৮টি এবং আমেরিকা ও ভারতের সম্মিলিত শক্তি ২০২টি যুদ্ধজাহাজ। ফলে এই ক্ষেত্রে চিন এগিয়ে রয়েছে।
চিন মিত্রশক্তি নয়, আর ভারত জলপথে ঘেরা
সামরিক ক্ষেত্রে চিনের বাড়বাড়ন্ত ভারতে একটু চাপে রাখবেই। চিন আকাশপথে এবং স্থলপথে রাশিয়া ও আমেরিকার থেকে পিছিয়ে থাকলেও জলপথে শক্তিশালী হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের পক্ষে চাপ থেকেই যায়। তারপর চিন ভারতের মিত্রশক্তি নয়। আর ভারত জলপথে ঘেরা। চিন জলপথে শক্তিশালী হওয়ায় দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকাকেও চাপে রেখে দেয়।
মমতার ১০ 'টোটকা' একুশের ভোট-ইস্তেহারে, বাংলা হবে সমৃদ্ধশালী তৃণমূলের হ্যাটট্রিকে
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েও শিকে ছিঁড়ল না! প্রার্থী হতে পারলেন না যাঁরা