আমেরিকার বিরুদ্ধে জেতার ক্ষমতা রাখে লালচিন! সামরিক ক্ষেত্রে কতটা শক্তিশালী দুই দেশ?
আমেরিকার বিরুদ্ধে জেতার ক্ষমতা রাখে লালচিন! সামরিক ক্ষেত্রে কতটা শক্তিশালী দুই দেশ?
চিন এবং আমেরিকার মধ্যে সংঘাত বাড়ছে। কার্যত হুমকি উপেক্ষা করেই হাউস স্পিকার Nancy Pelosi তাইওয়ানে পা রাখেন। আর তা নিয়ে সংঘাত আরও চরমে উঠছে। হাউস স্পিকারে তাইপে সফরের মধ্যেই সে দেশের আকাশসীমায় পৌঁছে যায় ২০ টিরও বেশি চিনা যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, বিশাল সামরিক মহড়া শুরু হয় রাত থেকেই। চিনের স্পষ্ট হুমকি, এর জবাব পেতে আমেরিকাকে তৈরি থাকতে হবে। এমনকি আমেরিকার এহেন উসকানিমূলক পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি।
২৫ বছরে প্রথম কোনও ব্যক্তি আমেরিকাতে পা রাখে
হাউস স্পিকার Nancy Pelosi-এর তাইওয়ান সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং রাজনৈতিক ভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু তাই নয়, গত ২৫ চভরের মার্কিন প্রশাসনের কোনও সদস্য তাইপে সফর কএননি। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন কার্যত চিনের হুমকি উপেক্ষা করেই হাউস স্পিকার Nancy Pelosi এবং অন্যান্যদের তাইওয়ানে পাঠিয়েছেন। বলে রাখা প্রয়োজন, এই মুহূর্তে তাইওয়ান চারপাশ জুড়ে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চিনের বাহিনী। অনেকেই এহেন প[দক্ষেপ ঘিরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক দুই দেশের শক্তি..
সেনা বাজেট-
আমেরিকার সেনা বাজেট গোটা বিশ্বে প্রথম। যদি বিশ্বের মোট সামরিক বাজেট একসাথে যোগ করা হয়, তাহলে এর 38% শুধু আমেরিকার। গত বছর আমেরিকার সেনা বাজেট ছিলেন ৮০১ বিলিয়ন ডলার। এটি আমেরিকার জিডিপির 3.5 শতাংশ। অন্যদিকে সোইন্য বাজেটে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়স্থানেই রয়েছে চিন। ২০২১ সালে চিনের সামরিক বাজেট ছিল ২৯৩ বিলিয়ন ডলার। এটি চিনের জিডিপির প্রায় ১.৭ শতাংশ।
চিন তাঁর শক্তি বাড়াচ্ছে-
চিন ক্রমাগত সামরিক ফ্রন্টে তার শক্তি বাড়াচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং ২০৩৫ সালের মধ্যে সামরিক শক্তিকে আধুনিক করার নির্দেশ দিয়েছেন। চিনের প্রেসিডেন্টের মতে, ২০৪৯ সালের মধ্যে চিনকে একটি 'বিশ্ব-মানের' সামরিক শক্তিতে পরিণত হতে হবে। যা সর্বদা জয়ী হবে বলে জানিয়েছেন জিংপিং। আর সেই লক্ষ্যেই চিনের সেনাবাহিনী কাজ করছে। এই বছর জুন মাসেই চিন বিশ্বের অন্যতম সুবিশাল বিমানবাহী এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার প্রকাশ্যে আনে।
নৌবাহিনীর শক্তি একনজরে-
যদি গোটা বিশ্বের নৌবাহিনীর শক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাহলে চিন আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিবিসি' এক রিপোর্ট অনুসারে, ২০০৫ থেকে এখনও পর্যন্ত চিন তার বহরে 348টি যুদ্ধ জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করেছে। যেখানে আমেরিকা মাত্র ২৯৬ টি যুদ্ধ বিমান এই সময়সীমার মধ্যে তাঁদের নৌবাহিনীতে যুক্ত করতে পেরেছে। এখনও পর্যন্ত চিনের তিনটির মধ্যে 11টি বিমানবাহী রণতরী এবং আরো পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন, ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ার রয়েছে। যদিও এই বিষয়ে চিন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে আমেরিকা নৌবাহিনীর একটি ভবিষ্যবানী বলছে, 2020 থেকে 2040 সালের মধ্যে চিনা নৌবাহিনীর মোট জাহাজের সংখ্যা প্রায় 40% বৃদ্ধি পাবে।
যুদ্ধবিমানে আগে আমেরিকা
এয়ারফোর্স ফ্রন্টে আমেরিকা চিনের থেকে অনেক এগিয়ে। আর্মফোর্সের তথ্য অনুসারে, আমেরিকার ভান্ডারে 12,930 টি বিমান রয়েছে। যেখানে চিনের কাছে আছে মাত্র ৪৬৩০ টি। এছাড়াপ আমেরিকার কাছে আছে ৩৩৪টি ড্রোন। ৪৭৪১টি হেলিকপ্টার। সেই তুলনায় চিন অনেকটাই পিছনে পড়ে গিয়েছে বলে দাবি সামরিক বিশ্লেষকদের। চিনের কাছে মাত্র 1,355টি হেলিকপ্টার এবং 151টি ড্রোন রয়েছে। তবে হঠাত করে আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে সমরাস্ত্রে নয়, রণকৌশলে জিততে হবে বলছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
পুতিনের বান্ধবীর বিরুদ্ধে 'স্ট্রাইক' আমেরিকার! কে এই Alina Kabaeva