ভারতের এক্সিট পোলের ফলাফল দেখে উচ্ছ্বসিত চিন; মোদী এলে সম্পর্ক দৃঢ় হবে, জানাচ্ছে সেদেশের মিডিয়া
গত রবিবার, ১৯ মে, এ বছরের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক্সিট পোলের ফলাফল বেরোতে শুরু করে এবং প্রায় সবাই ইঙ্গিত দেয় যে নরেন্দ্র মোদী ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী হয়ে, দ্বিতীয়বার।
গত রবিবার, ১৯ মে, এ বছরের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক্সিট পোলের ফলাফল বেরোতে শুরু করে এবং প্রায় সবাই ইঙ্গিত দেয় যে নরেন্দ্র মোদী ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী হয়ে, দ্বিতীয়বার।
এক্সিট পোলের ফলাফল দেখে খুশি ব্যক্ত করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিন। সোমবার, ২০ মে, চিনের 'গ্লোবাল টাইমস'-এর একটি মতামত-ধর্মী লেখায় আশা ব্যক্ত করা হয়েছে যে মোদী জিতলে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
'মোদীর শাসনকালে ভারত-চিন সম্পর্ক ভালোর দিকেই এগিয়েছে'
লেখাটিতে বলা হয়, মোদীর শাসনকালে নয়াদিল্লির সঙ্গে বেইজিং-এর সম্পর্ক একনাগাড়ে ভালো হয়েছে এবং বিশেষ করে, ২০১৮ সালে উহানে হওয়া মোদীর সঙ্গে চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর আলোচনা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একটি নতুন দিশার উন্মোচন করেছে এবং ভবিষ্যতেও যাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালো হয়, তার ভিত শক্ত করেছে।
তবে, গ্লোবাল টাইমস-এর প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে যে মোদীর জমানায় কিছু বিতর্কিত ঘটনাও ঘটেছে ভারত-চিন সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে। যেমন, তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান লোবসাং সাঙ্গেকে ২০১৪ সালে মোদীর শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত করা বা অরুণাচল প্রদেশে (যা চিনের মতে বিতর্কিত অঞ্চল) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অন্তত তিন বার পা রাখা।
তবে চিনা সংবাদমাধ্যমটি এই বিতর্কিত ঘটনাগুলির জন্যে মোদীর নিন্দা করেনি এই পর্বে। প্রতিবেদনটি জানিয়েছে মোদীর এই পদক্ষেপগুলি জাতীয়তাবাদী জিগির তুলে বিজেপির সমর্থনকে দৃঢ় করার জন্যে নেওয়া কারণ ইদানিংকালে, ভারতের রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদ এবং হিন্দুত্ববাদ বড় আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি, তারা এও জানিয়েছে এই প্রবণতাগুলি সাম্প্রতিক সময়ে মোদীর চিন নীতির উপরে প্রভাব ফেললেও মোটের উপরে তাঁর নীতি ভালোই কাজ করেছে।
'রাজনীতি থেকে অর্থনীতিকে আলাদা করে মোদী পরিণত মানসিকতা দেখিয়েছেন'
গ্লোবাল টাইমস মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলে যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সংঘাতের থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টিকে আলাদা করে দেখে যথেষ্ট পরিণত-মনস্কতা দেখিয়েছেন। "মোদী জানেন যে চিনের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী," মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
ভারতের চিনে অবস্থিত এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক-এ যোগদান করা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টিরও প্রশংসা করেছে চিনের সংবাদমাধ্যমটি।