করোনা প্রকোপের মধ্যে ভারতেকে বড় সাহায্য চিনের! দেশে আসছে ১.৭ লক্ষ পিপিই
গত বছরের ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয় চিনে। এরপর সেই সংক্রমণ গত তিন মাসে ছড়িয়ে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তে। এই মহামারীর থাবা থেকে বাদ পড়েনি ভারতও। ভারতবর্ষে করোনাভাইরাসের সঙ্কট তীব্রতর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে তথা স্বাস্থ্যকর্মীদের বাঁচাতে ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চিন।
ভারতে ক্রমেই ছড়ায়ে পড়ছে কোভিড ১৯
এর আগে যখন চিনে প্রথম এই মহামারী থাবা বসায় তখন সাহায্যে সেদেশকে সাহায্য করতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। এখন অবশ্য চিনে এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভারতে ক্রমেই ছড়ায়ে পড়ছে কোভিড ১৯। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট দান করেছে চিন। ভারতের কাছে এর আগে মাত্র ২০ হাজার পিপিই ছিল।
৮০ লক্ষ পিপিই-র অর্ডার সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিকে
এর আগে সরকার ২০ লক্ষেরও বেশি এন ৯৫ মাস্ক হাসপাতালগুলিকে দিয়েছে। আপাতত ১৬ লক্ষ এন ৯৫ মাস্ক সরকারের কাছে রয়েছে। তারই সঙ্গে ৮০ লক্ষ পিপিই-র অর্ডার সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর ১১ এপ্রিল থেকে এই পিপিই ভারতে এসে পৌঁছতে শুরু করবে।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের পথে
যদিও ভারতে দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। কেবল আক্রান্ত নয়, পাল্লা দিয়েই বেড়েছে কোভিড-১৯ মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি অনুসারে ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যে ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১১১ জনের এবং ৪২৮১ জন এই মুহূর্তে সংক্রমণের আওতায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৭০৪ টি নতুন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ১৪ এপ্রিলের পরেও লকডাউন জারি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিক রাজ্য এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করছে সরকার।