মোদী সরকারের গেমপ্ল্যান বুঝতেই ভয়ে কাঁপছে জিনপিংয়ের চিন! শিক্ষাক্ষেত্রে বেজিং-আকাশে কালো মেঘ
মোদী সরকারের গেমপ্ল্যান বুঝতেই ভয়ে কাঁপছে জিনপিং এর চিন! শিক্ষাক্ষেত্রে বেজিং-আকাশে কালো মেঘ
ডিজিটাল,ইলেকট্রনিক স্ট্রাইকের পর এবার শিক্ষাক্ষেত্রে চিনের ধূর্ত গুপ্তচরবৃত্তি দিল্লি ফাঁস করতেই বেকায়দায় বেজিং। বেজিং একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর এবার নজর দিল্লির। দিল্লির গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাঁটছড়া নিয়ে এবার দিল্লির আঁটোসাটো পদক্ষেপ নিতেই কাঁপুনি ধরেছে চিনের।
আতঙ্কে চিনের বার্তা
চিনের আর্থিক লাইফলাইন দিল্লি ধরে ধরে কেটে দিতে শুরু করেছে ভারতে। একের পর এক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা, কালার টিভির আমদানিতে বিধি নিষেধ লাগুর পর এবার চিনের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট নিয়ে ভারত পর্যালেচনা শুরু করতেই চিন দাবি করেছে, স্বচ্ছ্ব ও বস্তুনিষ্ঠ প্রক্রিয়াতে যেন ভারচ-চিন উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রকে বিবেচনা করা হয়।
মৌ স্বাক্ষর ও সন্দেহ
গোয়েন্দাদের দাবি, বহু ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌ স্বাক্ষরিত হয়ে রয়েছে। তারা যৌথভাবে ভারতের বাজারে ব্যবসায়িক দিকটিও জোরদার করছে। আর চিনের এই ব্যবসায়িক দিক জোরদার করা নিয়েই বিরক্ত ভারত। ফলে ভারতের বাজারে যেন কনও মতেই চিন বাণিজ্য করতে না পারে,তার সমস্ত রকমের বন্দোবস্ত শুরু করেছে দিল্লি।
চিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে সন্দেহ একাধিক দেশের
ইউকে, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেনের মতো দেশকে এই চিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিরক্ষাগত বিপাকে ফেলেছে বলে খবর। অস্ট্রেলিয়া সাম্প্রতিককালে জানিয়েছে চিনের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট তাদের স্ক্যানারে রয়েছে। বিদেশী প্রতিষ্ঠান দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে বলে অস্ট্রেলিয়ার সন্দেহ হতেই শুরু হয়েছে সেদেশে তদন্ত।
কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও ভারত
যে সমস্ত ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিনের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে বা কোনও চিনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে, সেই সমস্ত ভারতীয় ইনস্টিটিউট এবার দিল্লির স্ক্যানারে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মৌ চিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কীভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, বা তার বিস্তারিত তথ্য পর্যালোচনার রাস্তায় যাচ্ছে দিল্লি।
কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক স্ক্যানারে?
লাভলি প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট, ভিআইটি, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়, পি জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার স্কুল অফ চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিনের সঙ্গে কীরকম ধরনের গাঁটছড়া রয়েছে,তা গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে।
বহু সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভারতের নজর
শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই নয়, দেশের তাবড় প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কী কী মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা দেখছে দিল্লি। জুলাই ১৫ তেই কেন্দ্রের তরফে রাজীব গৌবা জানিয়ে দেন, ভারতের অন্দরে চিনের প্রবেশ কোথায় কোথায় রয়েছে তা ঘিরে রেড ফ্ল্যাগ জারি করা হচ্ছে।
একাধিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নজরে
আইআইটি খড়গপুর, আইআইটি বম্বে, ছাড়াও দিল্লি, গুয়াহাটি, মাদ্রাজ, গান্ধীনগর,রুরকি, ভুবনেশ্বরের আইআইটির সঙ্গে চিনা প্রতিষ্ঠানের মৌ খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে, এনআইটি দুর্গাপুর, আইআইএসইআর কলকাতা, আইআইএসইআর বেঙ্গালুরু, এনআইটিসুরতকার, ওয়ারাঙ্গাল রয়েছে নজরে। মনিপুর বিশ্ববিদ্যালয়, দেএনইউ, বানারস বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে তালিকায়।
রাম মন্দিরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এঁরাই, তবুও অযোধ্যার ভূমিপুজোয় থাকছেন না আডবাণীরা!