মোদীর নেপাল সফরকে ভারতের 'সফ্ট পাওয়ার' প্রয়োগ বলে খোঁচা চিনের
মোদীর নেপাল সফরকে ভারতের 'সফ্ট পাওয়ার' প্রয়োগ বলে ব্যাখ্যা করল চিন
কিছুদিন আগে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে একদিনের নেপাল সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশটিতে গিয়েই মোদী বলেছিলেন, লুম্বিনী গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান। আপাতদৃষ্টিতে অত্যন্ত সাধারণ একটি সফর, তবে এর ফলেই আবেগের মহাবিষ্ফোরণ হয়েছে নেপালে। নেপালি আবেগ উস্কে দিয়েছেন মোদী। জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে পরোক্ষভাবে বেশ চাপে পড়েছে বেজিংও৷
মোদীর সফর আদপে কূটনৈতিক চাল!
ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে পঞ্চমবার নেপাল সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাঠমাণ্ডুতে এই প্রথমবার নেপালের পার্লামেন্টে বক্তব্য পেশ করলেন তিনি৷ সেখানেই স্বীকার করলেন, লুম্বিনী নগরেই গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল। সফরের শুরু থেকেই মোদীর ওপর নজর ছিল চীনের। বেজিংয়ের সংবাদসংস্থা গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোদীর এই সফর আদতে ভারতের কূটনৈতিক চাল। তবে শুধুই গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান সংক্রান্ত আবেগ উস্কে দেওয়া নয়। নেপালে গিয়ে মোদী জানান, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির উচিত আরও সুদৃঢ়ভাবে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা।
কী বলছেন টিশুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর?
টিশুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নীতি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বিভাগের ডিরেক্টর কিয়ান ফেং গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আরও বেশি করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন মোদী। তাঁর কথায়, 'ভারত-নেপাল সম্পর্ককে অন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন মোদী'৷ তিনি আরও বলেন,' চিন কখনোই ভারত-নেপালের সুসম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানায়নি। আমরা চাই ভারত এবং চিন, দুই মহাশক্তিধর দেশ পরিকাঠামো উন্নয়ন সহ অন্যান্য বিষয়ে একে অপরকে সাহায্য করুক। চিন বরাবরই দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের স্বার্থে সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছে৷'
গালওয়ানের স্মৃতি এখনও টাটকা!
২০২০ সালের জুন মাসে গলওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষের স্মৃতি এখনও তাজা৷ সেই সময়ে নেপালের সঙ্গেও দুরত্ব তৈরি হয়েছিল ভারতের৷ সম্প্রতি মোদীর নেপাল সফর তাই আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কার্যত গেমচেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে। তাঁদের মতে, মোদীর বক্তব্যের কারনে লুম্বিনী বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পাবে৷উল্লেখ্য, গতমাসে দিল্লি এবং কাঠমান্ডু সফর করেছিলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই। তারপরই ভারত সফরে আসেন নেপালী প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা।