এবার দক্ষিণ চিন সাগরে হামলা চালাল চিনা বোমারু বিমান! জেনে নিন সেদেশের বক্তব্য
চিনা এয়ার ফোর্স দক্ষিণ চিন সমুদ্রের একটি দ্বীপে প্রথমবারের জন্য বোমারু বিমান অবতরণ করিয়েছে।
বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের হামলা চালাল চীনা বোমারু বিমান এইচ-৬কে। এটা অবশ্য একটা সামরিক মহড়ার অংশ ছিল। সাজানো হামলা। তবে সেখানেই একটি দ্বীপে বোমারু বিমানগুলি মোতায়েন করেছে বেজিং। শনিবার চীন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে , 'পিপলস লিবারেশন আর্মি, মহড়া দিতে কয়েকটি এইচ-৬কে এর বোমারু বিমান দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপে অবতরণ করিয়েছে। এতে করে এই অঞ্চলে আমাদের শক্তির উন্নতি ঘটবে এবং যেকোনো সময় হামলা হলেও প্রতিহত করতে সক্ষম হবো আমরা।' বিতর্কিত এই অঞ্চলে এরফলে দ্বন্দ্ব আরো বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে,'এইচ-৬কে-র পাইলটরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তার অংশ হিসেবে, কয়েকটি এইচ-6কে বোমারু বিমান একটি বিমান ঘাঁটি থেকে উড়ে গিয়ে সমুদ্রে কয়েকটি সাজানো লক্ষ্যে হানা দিয়ে ওই দ্বীপে অবতরণ করেছে। তবে মহড়া ঠিক কোথায় হচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমার মালিকানা নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশ যুযুধান। অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করে আসছে চিন। অন্যদিকে এ অঞ্চলে 'সামরিকীকরণ'-এর মাধ্যমে চিন দখলদারি কায়েম করছে বলে অভিযোগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের আঞ্চলিক সঙ্গী ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ান। তাদের দাবি জায়গাটি আন্তর্জাতিক সীমারেখার অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু চিন বারবারই বলেছে দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অঞ্চল তাদেরই। কাজেই অধিকার কায়েম নয়, তারা জাতীয় নিরাপত্তা আঁটো সাঁটো করছে।
চীনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে প্রায়ই সেখানে রণতরী পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্রিস্টোফার লোগান বলেছেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত ও স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক সাগর রক্ষা করতে চায়। আমরা চীনের সামরিকীকরণের খবর পেয়েছি। এতে করে শুধু উত্তেজনাই বাড়বে।'
এর আগে দক্ষিণ চীন সাগরের তিনটি স্থানে জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র 'ওয়াইজে-১২বি' ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এইচকিউ-৯বি' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে চীন।