লাদাখের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন চিনের! বেজিংয়ের আলটপকা মন্তব্যে সীমান্তে ঘনীভূত শঙ্কার মেঘ
ফের লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার পারদ চড়ার সম্ভাবনা দেখা দিল। ভারতকে খেপিয়ে এবার চিনের পক্ষ থেকে ভিত্তিহীন দাবি তোলা হল এবং দুই দেশের সম্পর্ক এর জেরে আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকার আশঙ্কা দেখা দিল। এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে লাদাখ ইস্যুতে একটি বিবৃতি পেশ করে বলা হয় যে বেজিং নাকি লাদাখকে ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে মানতে নারাজ।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র যা বললেন
এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়্যাং ওয়েবিন বলেন যে ভারত নাকি বেআইনি ভাবে লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে গঠন করেছে। এবং সীমান্ত এলাকায় ভারতের পরিকাঠামোগত নির্মাণ কাজের বিরোধ করা হয়। প্রসঙ্গত, আগামী ৩ অক্টোবর মানালি থেকে লেহ পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপনকারী অটল টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগেই ফের উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে চিনের এহেন মন্তব্য।
সংঘাত মেটাতে প্রয়োজন সীমান্ত চিহ্নিতকরণ
মে মাসের শুরু থেকে এই প্যাংগং লেক ও গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘাতের পরিস্থতি তৈরি হয়। দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় তাদের সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। যতক্ষণ না দু'দেশের মধ্যে একটা সীমান্ত চিহ্নিতকারী স্পষ্ট রেখা থাকবে, এই সংঘাত কখনও শেষ হবে না।
লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশে নজরদারি বৃদ্ধি
সূত্রের খবর, লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই সমস্ত এলাকাগুলোতে চিনা সেনা নতুন করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। এই সমস্ত এলাকায় চিনা সেনার ওপর করা নজরদারি চালানো হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে। উল্লেখ্য, প্যাংগং লেক এলাকায় চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করে দেয় ভারতীয় সেনা বাহিনী। এরপর থেকেই ভারতীয় এজেন্সিগুলো নজরদারি বাড়িয়েছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।
রণসজ্জা নিয়ে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা
এদিকে আসন্ন শীতে যুদ্ধের আশঙ্কা করে লাদাখ সীমান্তে রণসজ্জা প্রস্তুত করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। লাদাখের হাড়কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেও যে অস্ত্রগুলো কার্যকরী সেগুলোই সীমান্তে মোতায়েন করছে ভারতীয় সেনা। শীতকালে রাতে পূর্ব লাদাখের স্বাভাবিক তাপমাত্রা মাইনাস ৩৫ ডিগ্রির আশপাশে থাকে। সঙ্গে দোসর প্রবলবেগে বয়ে চলা হিমেল হাওয়া।
বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র
সমতল থেকে ১৪,৫০০ ফিট উঁচুতে চিন সেনার মোকাবিলায় যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ও কমব্যাট ভেহিকেলস মোতায়েন করা হয়েছে। এটা হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চুমার ডেমচক এলাকায় টি-৯০, টি-৭২ ব্যাটল ট্যাঙ্ক ছাড়াও বিএমপি-২ কমব্যাট ভেহিকেলস রাখা হয়েছে। যা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও কাজ করবে।
তিব্বতে আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইল মোতায়েন
শুধু তাই নয়, সীমান্তে ভারতীয় সেনার শক্তি বাড়াতে নিয়ে যাওয়া হল মিসাইল নির্ভয়কে। তৈরি রাখা হয়েছে ব্রহ্মস এবং আকাশকেও। সমস্ত আবহওয়ায় ভূমি থেকে ভূমি আঘাত হানতে সক্ষম এই মিজ়াইলটির রেঞ্জ ১ হাজার কিলোমিটার৷ যার অর্থ এটি তিব্বতে আঘাত হানতে সক্ষম৷