ভারত-বাংলাদেশ তিস্তা জলবণ্টনেও চিনের ধূর্ত থাবা! ঢাকাকে কোন টোপে খেলাচ্ছে বেজিং
বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধনের কয়েকদিন আগের বাংলাদেশ সফর নেহাতই কোনও মামুলি ঘটনা নিয়ে নয়। একাধিক সূত্রের দাবি ছিল, বাংলাদেশে ভারতের দূত হিসাবে গিয়ে শ্রিলাং এক কূটনৈতিক রাস্তা তৈরি করবেন। তার নেপথ্যে একটাই কারণ, সেটি হল চিনের বিস্তারবাদ। পাকিস্তান, নেপালের পর এবার ঢাকাকে নয়া টোপে মশগুল করে সেই পথ ধরে ভারতকে টার্গেট করতে চাইছে চিন। কয়েকমাস আগে বাংলাদেশের তরফে দিল্লি হিংসা নিয়ে সমালোচনা আসার পর দিল্লি খানিকটা নড়েচড়ে বসে। এবার ভারত-বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তির প্রেক্ষিতে চিনের আস্ফালন নিয়ে দিল্লি কড়া নজর রাখতে শুরু করেছে।

নেপালের পর বাংলাদেশকে কোন টোপ?
উল্লেখ্য, বিশ্বের একাধিক দেশে চেনা ছকে বিস্তারবাদের আস্ফালন বাড়াতে শুরু করেছে চিন। বহু দেশেই একাধিক প্রজেক্টে অর্থ বিনিয়োগ করে চিন সেদেশের আবেগ কিনে নিয়েছে কার্যত। যার প্রবল শিকার নেপাল। এবার বাংলাদেশকে তিস্তার জল সম্পর্কীয় এক প্রজেক্টে চিন ঋণ দেবে বলে খবর।

বাংলাদেশ কী চাইছে?
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ চাইছে তিস্তার জল জমা করা এবং তিস্তা অববাহিকা সম্পর্কিত একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে যে প্রজেক্ট তারা করতে চলেছে, তাতে তাগড়াই বিনিয়োগ আসুক। আর সেই মর্মে চিন ১ বিলিয়নের ঋণ বাংলাদেশকে দিতে প্রস্তুত। যে খবর শুনেই বাংলাদেশে পৌঁছন সেদেশে এককালে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে থাকা বর্তমান ভারতের বিদেশ সচিব শ্রিংলা।

তিস্তা জট ও মমতা-মোদী
তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে ২০১১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে তৎকালীন মনমোহন সিং সরকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। যার হাত ধরে তিস্তান জলের বণ্টনের প্রসঙ্গ আসে। বাংলার তখতে তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুহূর্তে তিনি এই চুক্তির বিরোধিতা করেন। এরপর ২০১৪ সালে দিল্লির মসনদে মোদী আসেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশ সফরে গিয়েই আশা প্রকাশ করেন যে এই তিস্তা জলবণ্টন বিতর্ক এবার শেষ হবে। এরপর বহুবার মমতা, মোদী, হাসিনার দেখা হলেও তিস্তা জলবণ্টন বিতর্ক নিয়ে কোনও দিশা পাওয়া যায়নি সমাধানের।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকেই ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। এরপর বাংলাদেশের তখতে হাসিনা সরকার যখনই এসেছে তখনই সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ২০১৮-১৯ থেকে ৯.২১ বিলিয়নের অঙ্কের রপ্তানি করেছে ভারত। বাংলাদেশ ভারতে ১.০৪ বিলিয়নের সামগ্রী রপ্তানী করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বুকে ভারত বিরোধী সন্ত্রাস শিবির গজিয়ে ওঠার খবর আসলেই তা দিল্লিকে রাতারাতি জানিয়েছে সেদেশ। তবে এবার চিনের ভ্রূকূচটি পেরিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক কোনদিকে যায় সেদিকে তাকিয়ে গোটা এশিয়া।
প্রশান্ত কিশোরই দ্বন্দ্ব লাগাচ্ছে বিজেপিতে! অর্জুনের নিশানায় বাণ হানলেন তথাগত