কিম-ট্রাম্প বৈঠকের পরই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পক্ষে সওয়াল করল চিন
ট্রাম্প - কিমের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য আহ্বান জানাল চিন।
মঙ্গলবার সারা পৃথিবীর চোখ ছিল সিঙ্গাপুরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয় প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের ঐতিহাসিক শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের পরই উত্তর কোরিয়ার উপর থেকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সওয়াল করলো চিন। তাদের বক্তব্য নিষেধাজ্ঞা তো আর চিরকালের জন্য করা হয়নি, বলা হয়েছিল পরিস্থিতির উন্নতি হলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে বা একেবারেই তুলে নেওয়া হবে।
সিঙ্গাপুরে মঙ্গলবার ট্রাম্প এবং কিমের বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল, উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন এবং কোরিয় উপদ্বীপে শান্তি ফেরানো। সেদিক থেকে বৈঠক একপ্রকার সফলই বলা চলে। বৈঠক শেষে জানা যায়, কিম কোরিয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টও তাঁকে উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ট্রাম্প এই বৈঠককে বলেছেন, 'সৎ, প্রত্যক্ষ এবং ফলপ্রসূ'।
এদিকে এই বৈঠক চলাকালীনই চিনের স্টেট কাউন্সিলার ও বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, 'কোরিয় উপদ্বীপের সমস্যার সমাধানে এটাই একমাত্র সঠিক পথ। আলোচনার মাধ্যমে, শান্তিপীর্ণ পথেই সমাধান মিলবে।' আর এর পেছনে যে চিনের একটা বড় ভূমিকা ছিল, তাও মনে করিয়ে দেন, ওয়াং। এও জানান, আগামী দিনেও এই ভূমিকা বজায় রাখবে চিন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, উত্তর কোরিয়া পরমাণু কারষকলাপ পুরোপুরি বন্ধ না করা অবধি রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখা হবে। সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাস ধরে চিন এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে আসছে। চিনের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র গেং শুয়াং অবশ্য এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, 'চিন যথাযথভাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলি রক্ষা করছে। এনিয়ে কোনও প্রশ্নের অবকাশ নেই।'
একইসঙ্গে গেং সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ভিত্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা তুলে নেওয়ার কথাও বলেন। তিনি জানান, 'নিরাপত্তা পরিষদের ওই রেজল্যুশনেই বলা হয়েছিল, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে বা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে। আমরা মনে করি সমস্যার সমাধানের জন্য উত্তর কোরিয়ার চলতি কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে নিরাপত্তা পরিষদের সম্মান করা উচিত।'