ভারতকে চাপে রাখতে গোপনে তিব্বতের একেবারে সীমান্তে বিমানবন্দর গড়ছে চিন
ডোকলামের ঘটনার পরও এতটুকু শোধরায়নি চিন। সীমান্তে ভারতকে চাপে ফেলার সমস্ত প্রয়াগ প্রয়োগ করে চলেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
ডোকলামের ঘটনার পরও এতটুকু শোধরায়নি চিন। সীমান্তে ভারতকে চাপে ফেলার সমস্ত প্রয়াস প্রয়োগ করে চলেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তিব্বতে নিজের সেনার দাপাদাপি বাড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে চিন। ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট বলছে, তিব্বতে পশ্চিম কম্য়ান্ডে নিজেদের সেনা ক্য়াম্পকে আরও উন্নত করছে চিন।
রিপোর্ট অনুযায়ী চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি তিব্বতের গোঙ্গগাতে একটি অসামরিক বিমানবন্দর তৈরি করছে।
তবে ঘটনা হল, এই গোঙ্গগা এলাকাটি ভারত সীমান্ত থেকে একেবারে কাছে অবস্থিত। এর পাশাপাশি চিন দক্ষিণ তিব্বতের বুরাং, লুনঝে ও তিংরিতে আরও তিনটি বিমানবন্দর গড়তে চলেছে। চিনের সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী দুই বছরের মধ্য়ে এই বিমানবন্দর গড়ার কাজ শেষ হবে। সবমিলিযে চিনের খরচ হবে প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ডোকলাম নিয়ে বছর দেড়েক আগে বেশ কয়েকমাস সীমান্তে ভারত-চিন উত্তপ্ত আবহাওয়া ছিল। সেই সময়ে দুই দেশই পিছিয়ে এলেও চিন তারপরও সীমান্ত এলাকায় প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা রণকৌশলে বিরাম দেয়নি। বরং সকলের চোখ এড়িয়ে নিজেদের কাজ করে গিয়েছে।
শুধু বিমানবন্দর তৈরিই নয়, সীমান্ত এলাকায় সেনা ক্য়াম্পও গড়ছে চিন। সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া তথ্য় অনুযায়ী অরুণাচল প্রদেশ থেকে নয়শো কিমি দূরত্বে চিনের য়ুঝি এলাকায় গোপন গাইডেড মিসাইল বসিয়েছে চিন। যা ভারতের জন্য় সুখের খবর নয়।
চিন বহুদিন ধরে চেষ্টা করেই পশ্চিম সীমান্ত এলাকায় নিজেদের দাপট তৈরি করে নিয়েছে। এখন মিসাইল বসিয়ে ভারতকে চাপে ফেলার কৌশল শুরু করেছে। এসব জানার পর এখন ভারতও নতুন অগ্রগতি নিয়ে নতুন করে নিজেদের কৌশল সাজাচ্ছে।
[আরও পড়ুন:পুলওয়ামায় আইইডি বিস্ফোরণ! নিহত ১০ জওয়ান, আহত আরও ১৩]
চিনের হাতে নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তা আড়াইশো থেকে এক হাজার কিমি দূরত্বের টার্গেটকে আঘাত করতে পারে। চিনের রণনীতি দেখে এখন ভারতও নিজেদের সীমান্ত কৌশলে রদবদলের চেষ্টা চালাচ্ছে।