ফের চুক্তি ভঙ্গ চিনের! ভারতের হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করে পূর্ব লাদাখে আরও আগ্রাসী বেজিং
লাদাখ জট কাটাতে একদিকে যখন নবম পর্যায়ের সামরিক বৈঠকে বসছে ভারত-চিন, ঠিক তখনই প্রাকাশ্যে এসে পড়ল চিনের নয়া কারসাজি। যা নিয়েই প্রবল চাপানৌতর শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, সেপ্টেবরে ইন্দো-চিন বৈঠকে হওয়া চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল বেজিংয়ের বিরুদ্ধে।

ভারতের হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করেই বাড়ছে চিনা আগ্রাসন
এদিকে গত বছরের মে থেকেই তপ্ত হয়ে রয়েছে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। এমনকী জুনের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে আরও অবনতি হয় গোটা পরিস্থিতির। এদিকে এর আগেও সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকে ভারত একাধিকবার লাদাখে স্থিতাবস্থা ফেরানোর পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেও থামেনি চিনা আগ্রাসন।

২১ সেপ্টেম্বরে বৈঠক ঘিরে প্রশ্ন
এদিকে সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে মুখে এক কথা বললেও কাজে আসলে অন্য সুর দেখা গিয়েছে চিনের সীমান্ত নীতিতে। গত কয়েকমাসে পূর্ব লাদাখে লাদাতার সন্তর্পনে সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে গিয়েছে বেজিং। এদিকে ২১ সেপ্টেম্বরের ষষ্ঠ দফার ভারত চিন বৈঠকে পূর্ব লাদাখের একাধিক এলাকা ও ফিঙ্গার থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছিল দুই দেশ। এমনকী এই বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতিও দেয় ভারত-চিন।

চিনের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ
বর্তমানে সেই চুক্তি ভঙ্গেরই অভিযোগ উঠছে চিনের বিরুদ্ধে। যদিও চুক্তি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি উত্তপ্ত এলাকাগুলিতে নতুন করে সেনা পাঠানো থেকেও দুই দেশ বিরত থাকবে বলে সম্মতি প্রকাশ করেছিল। এমনকী এই বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও ধোঁয়াশা কাটাতেও একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়াবে বলেও অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে মুখে এক কথা বললেও বাস্তবের মাটিতে আগ্রাসন বজায় রেখেছে চিন।

নবম পর্যায়ের সামরিক বৈঠকের আবহেই প্রকাশ্যে চিনা কারসাজি
এদিকে গত বছরের জুনের লাদাখ সংঘর্ষের পর দিন যত গড়িয়েছে ততই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমেই বেড়েছে চিনা আগ্রাসন। এমতাবস্থায় রফাসূত্র খুঁজতে রবিবরাই ফের চুসুল সেক্টরের মলডোতে নবম পর্যায়ের সামরিক বৈঠকে বসে ভারত-চিন। যদিও চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখেই আগেই সীমান্ত ইস্যুতে চিনকে বারংবার কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজনাথ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, চিন যত দিন না সেনা সরাবে, ভারতও এলএসি থেকে সেনা সরাবে না। এমনকী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদোরিয়াকে।

৬ দিনে ১০ লক্ষ টিকাকরণ, আমেরিকা–ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে ভ্যাকসিন ড্রাইভে রেকর্ড ভারতের