G20 সম্মেলনে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে আলোচনা চায় না চিন, সাহায্য চায় ভারতের!
বেজিং, ৬ আগস্ট : চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আগামী ১২ আগস্ট ৩ দিনের ভারত সফরে আসছেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে আসন্ন G20 সম্মেলনে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে তৈরি বিতর্কে ভারত যেন অন্য দেশের সঙ্গে একজোট হয়ে বিরোধিতা না করে তা নিশ্চিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ওয়াং ই। [দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের একার অধিকার নেই, জানাল ট্রাইব্যুনাল]
দক্ষিণ চিন সাগরের উপরে একা কর্তৃত্ব করার কোনও অধিকার চিনের নেই, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের এই রায়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে চিন। তাদের আশঙ্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ একাধিক দেশ এই বিষয়টি সামনে আনবে। যাতে চিনের বিড়ম্বনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে চিনের সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ম্যানিলা (ফিলিপিন্স) বেজিংয়ের (চিন) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জানায়। চিন গায়ের জোরে দক্ষিণ চিন সাগর দখল করে রেখেছে এবং সেখানে একা কর্তৃত্ব করছে। অন্য কোনও দেশকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
ভারতের তরফে যে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সম্মেলনের কার্যকর বাস্তবায়ন করা উচিত। এই প্রচেষ্টায় সব দেশের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ভারতের এই প্রতিক্রিয়ায় খুব একটা খুশি নয় চিন। তাদের কথায়, G20 সম্মেলনে আলোচনা করার মতো বিষয় নয় দক্ষিণ চিন সাগর। তাই তারা চায় এই বিষয়ে ভারত যাতে কোনও দেশের সঙ্গে মিলে দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকার নিয়ে আলোচনা না চায় এই সম্মলনে। [দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে এত লড়াই কেন? কী এর প্রেক্ষাপট, জেনে নিন]
প্রসঙ্গত এনএসজিতে ভারতের সদস্যপদের বিরোধিতা করা, দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত চলাচলে আপত্তির মতো বেশ কিছু গুরুতিবপূর্ণ বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরেই চীনের সঙ্গে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ভারতের। ভারতে কর্মরত ৩ চিনা সাংবাদিককে দেশে ফেরত পাঠানোয় সেই তিক্ততা আরও কিছুটা বাড়ে। তবে আপাতত নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই দক্ষিণ চিন সাগর ইস্যুতে সাহায্যের অনুরোধ করতেই নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হচ্ছেন ই।