সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও মাসুদ আজহার নিয়ে দ্বৈত অবস্থান, ব্রিকসের মঞ্চে বেআব্রু চিন
চিন সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে বাকী সকলের মতো সরব হলেও জঈশ প্রধানকে ব্যান করার প্রশ্নে সুকৌশলে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে।
ব্রিকসের মঞ্চে ফের একবার জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠন ও তার প্রধান মাসুদ আজহারকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ল চিন। যদিও প্রতিবারের মতোই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকল চিন। এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা প্রশ্নে ও জঈশ প্রধানকে ব্যান করার প্রশ্নে চিনের দ্বৈত অবস্থান ফের একবার বিশ্বের মঞ্চে প্রকাশ পেল।
এদিন ব্রিকসের মঞ্চে চিন সহ সমস্ত দেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এক ছাতার তলায় এসে কাজ করার অঙ্গীকার করে। পাশাপাশি জঙ্গি সংগঠন হিসাবে একদিকে যেমন জঈশের নাম ঘোষণা করা হয়, তেমনই পাকিস্তান থেকেই যে সন্ত্রাসবাদের বিষ ছড়ানো হচ্ছে সেটাও তুলে ধরা হয়।
যদিও চিন সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে বাকী সকলের মতো সরব হলেও জঈশ প্রধানকে ব্যান করার প্রশ্নে সুকৌশলে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। ব্রিকস দেশগুলি একসঙ্গে জঈশের নাম করায় চিনও কি তাহলে মাসুদ আজহারকে ব্যান করার ক্ষেত্রে অবস্থান বদল করল? এই প্রশ্নে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইয়েং হুয়াং বলেন, ব্রিকসের যৌথ বিবৃতি হাতে না পেলে কোনও মন্তব্য তিনি করবেন না।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিনের ভেটোর জন্যই এখনও জঙ্গি মাসুদ আজহারকে ব্যান করা যায়নি। চিন তা আটকে রেখেছে। বারবার ভারতের আবেদনের পরও তাতে কর্ণপাত করেনি। পাশাপাশি ভারতের এনএসজি সদস্যপদও চিনের জন্য আটকে রয়েছে।
২০১৬ সালের পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী মাসুদ আজহার ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের একজন। এই জঙ্গি ভারতে হওয়া বেশ কয়েকটি বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে রয়েছে। তাকেই পাকিস্তানের কথায় বারবার চিন বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ।