মাটিতে কোয়াড সম্মেলন , আকাশে যৌথ বিমান মহড়া চিন-রাশিয়ার
Array
একদিকে কোয়াড সম্মেলন চলছে আর ঠিক সেই সময়েই চলছে রাশিয়া ও চিনের বিমান মহড়া। একদিকে কোয়াড সম্মেলনে চিনের বিরুদ্ধে ১৩ টি দেশ এক জোটে টক্কর দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছে জাপানে বসে তখনই ঘটে এই ঘটনা।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ এই কথা জানিয়েছে। মহরার সময় দুই দেশের আকাশ সীমার মধ্যে চিনের বিমান প্রবেশ না করলেও একদম গা ঘেঁষে ঢুঁ মেরে যায়। বার্তা দিয়ে যায় যেন, একদিকে ওইপক্ষ চাপ দিলেও তারাও সাঙ্গপাঙ্গ জোগাড় করে টক্কর দিতে প্রস্তুত।
মূলত চিনের বেশি ক্ষোভ আমেরিকার উপর। আবার এই কোয়াড সম্মেলন হচ্ছে তাদের নেতৃত্বেই। এখানে দাঁড়িয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেন যে যদি চিন গায়ের জোরে তাইওয়ান দখল করে তাহলে সেই কাজ করতে তাঁরা বাধা দেবেন। সামরিক ভাবে দেওয়া হবে সেই বাঁধা। সঙ্গে তাঁরা নেবেন জাপানকেও। এই খবর পৌঁছাতেই চিন তিব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলে , এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
সেখানে বিদেশি কেই নাক গলাক সেটা তারা একেবারেই মেনে নেবে না। তাঁরা তাদের চিন্তা ভাবনা থেকেও এক চুলও নড়বে না। এসবের মাঝেই হয় ওই মহড়া। যেন বার্তা দেওয়া, তোমরা যদি জাপানকে নিয়ে আমাদের সঙ্গে টেক্কা দাও আথলে আমরাও সঙ্গে নেব রাশিয়াকে। আর রাশিয়া যে ইউক্রেনে কী কাণ্ড করেছে তা সবাই দেখছে, আবার সেখানেও আমেরিকা ও ন্যাটোর দেশগুলি না বললেও একযোগে গিয়ে সাহায্য করছে ইউক্রেনকে। না হলে তাদের এতদিন যুদ্ধ সামলানো সম্ভব ছিল না।
চিনের মতোই রাশিয়ার সঙ্গেই আমেরিকার দ্বন্দ্ব রয়েছে । তবে এই দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। সব মঞ্চেই চলে এই লড়াই। স্বাভাবিকভাবেই শত্রুর শত্রু তো বন্ধু হবেই। তাই চিন ডাক দিতেই সাড়া দেয় রাশিয়া এবং কোয়াড সম্মেলন চলাকালীন হয় যৌথ বিমান মহড়া।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন যে , প্রথমে চিনের দুটি যুদ্ধবিমান জাপান সাগরে উড়ে আসে। এগুলি আসে পূর্ব চিন সাগরের দিক থেকে। এরপর আসে দুটি রুশ যুদ্ধবিমান। রুশ ও চিনা বিমান উড়তে থাকে পাশাপাশি । এগুলি একজোটে যায় পূর্ব চীন সাগরের দিকে। পড়ে আরও রুশ যুদ্ধবিমান আসে।সেগুলি একসঙ্গে জাপান সাগরের দিকে চলে আসে। সেগুলি অনেকা উড়ে যায় প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে।
কিশিদা এও জানিয়েছেন, মহড়ার রাশিয়ার একটি বিমান নজরদারি চালাচ্ছিল। সেটি জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপের কাছ দিয়ে উড়ে নতো উপদ্বীপের কাছে যায়। তবে সেগুলি উড়ছিল জাপানের আকাশসীমা লঙ্ঘন না করে। কিশিদা স্পষ্ট জানিয়েছেন কোয়াড সম্মেলন চলাকালীন এই মহড়া উসকানি ছাড়া আর কিছু নয়।
দক্ষিণ কোরিয়াও জানায় তাঁরা এই মহড়া দেখেছেন। তবে এগুলি তাদের আকাশশীমা লঙ্ঘন করেনি। চিন ও রাশিয়া এই মহাড়ার কথা স্বীকার করে বলেছে যে , জাপান সাগর ও পূর্ব চিন সাগরের আকাশে দুই দেশ মোট ১৩ ঘন্টা এই মহড়া চালিয়েছে কারও আকাশসীমা লঙ্ঘন না করে।