ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে চিন-পাকিস্তান সামরিক চুক্তি! কোন চক্রান্ত ইসলামাবাদ-বেজিংয়ের?
সামরিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে। সোমবার স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী আঞ্চলিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা করবে চিন এবং পাকিস্তান। যা নিঃসন্দেহে ভারতের জন্যে চিন্তার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মত, ভারতকে বেকায়দায় ফেলতেই চিন-পাকিস্তানের এই চুক্তি।

পাকিস্তান সফরে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জানা গিয়েছে সোমবার, চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা পিপলস লিবারেশন আর্মির জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানি সেনার সদর দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে পাকিস্তানি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই চুক্তি সই করেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ফেঙ্গে। পাশাপাশি চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর নিয়েও আলোচনা হয় দুই পক্ষের।

চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা একটু একটু করে পাকিস্তান চিনকে 'দান' করেছে। এই অঞ্চলের এই এলাকাগুলি চিনের হাতে তুলে দেওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোরের রাস্তা আরও মসৃণ করা। ৩২১৮ কিলোমিটার লম্বা এই করিডোর আদতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'ড্রিম প্রোজেক্ট।'

চুক্তির রূপরেখা তৈরি হয় আগেই
জানা গিয়েছে জেনারেল ফেঙ্গের পাকিস্তান সফরের আগে পাকিস্তানে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত নং রং আগেভাগেই পুরো চুক্তির রূপরেখা তৈরি করে রাখতে পাকিস্তানি সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই চিনের ইউনাইটেড ফ্রন্ট ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের অধীনে কর্মরত নং রং-কে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল বেজিং। তিনি আদতে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির একজন রাজনীতিবিদ।

পাকিস্তানকে হাতে রাখতে ইসলামাবাদকে সাহায্য চিনের
পাকিস্তানে রাষ্ট্রদূতের পদে এক কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদকে পাঠানোর মূল কারণ, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বিরোধী একটি অক্ষ তৈরি করা। পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের বন্ধু। সেখান থেকেই বাংলাদেশ, মায়ানমারের মতো দেশের উপরও প্রভাব বিস্তার সম্ভব চিনের পক্ষে। সেই লক্ষ্যে পাকিস্তানকে হাতে রাখতে ইসলামাবাদকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করছে চিন।

চিন থেকে অস্ত্র কিনছে পাকিস্তান
এদিকে অগাস্টেই ভারতীয় গোয়েন্দারা দাবি করেছিলেন যে চিন থেকে যুদ্ধাস্ত্র যাচ্ছে পাকিস্তানে। নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে। জানা গিয়েছিল, পাকিস্তান সেনার একটি ১০ সদস্যের দল চিনে গিয়ে অস্ত্র কারখানায় পণ্য দেখে আসে। এবার নয়া এই সামরিক চুক্তির মাধ্যমে ভারতের উপর আরও চাপ বাড়াতে চাইছে পাকিস্তান এবং চিন।
