ভারতের কাছে মাথা নোয়ালো চিন! 'আটকে পড়া' ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্তে বেজিং
কয়েক মাস আগে চিনের মেজাজে যে 'অহং বোধ' ছিল, তা কার্যত চুরমার হয়ে গিয়েছে, দিল্লির একের পর এক ঝাঁঝালো সিদ্ধন্তে। অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও, কালার টিভিতে জিনিসের আমদানিতে বিধি, এরপর চিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে দিল্লির পদক্ষেপে রীতিমতো সন্ত্রস্ত চিন। তার জেরেই এবার চিনে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল বেজিং।
কূটনীতি চরমে
চিন এবার জানিয়েছে, যে ১৫০ জন ভারতীয় কূটনীতিবিদের পরিবার যাঁদের চিন ঢুকতে দেয়নি। তাঁদের ছাড়ার অনুমতি পত্র দিতে চলেছে বেজিং। এই কূটনীতিবিদ ছাড়াও বহু ব্যাঙ্ক ও প্রাইভেট সংস্থায় কর্মরত ভারতীয়দেরও ছাড়পত্র চিন দিতে চলেছে বলে খবর।
কীভাবে ফিরবেন এঁরা?
জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে গুয়াংজুগামী যে বিমান যাবে , তাতেই এই ভারতীয় কূটনীতি বিদদের পরিবার সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব চিনে নিজের পরিবারের কাছে ফিরবেন। এর আগে এঁদের নিতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান রওনা হয়েছিল ২৯ জুন। সেই সময় ভারতের ও চিনের অফিশিয়ালদের প্রচুর আলোচনার পরও ছাড়া হয়নি ওই ভারতীয় কূটনীতিকদের ও তাঁদের বহুজনের পরিবারের সদস্যদের।
চিনের শর্ত
চিন এদিন এক শর্তও জারি করেছে এই প্রসঙ্গে। চিন জানিয়েছে, যাঁরা ভারতে ফিরতে চান, তাঁরা যদি চিনে অ্যান্টিবডি টেস্ট ও নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্টে শারীরিক সুস্থতার দাবি করেন, তাহলেই তাঁরা চিনে ফিরতে পারবেন। সেদিক থেকে গুয়াংঝু বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট হবে তাঁদের। তাতে যদি কেউ পজিটিভ হন, তাহলেই পরের বিমানে তাঁকে দিল্লি ফেরত পাঠাবে চিন।
চিন যাওয়ার লক্ষ্য কী?
বহু ভারতীয়ই যাঁরা চিনে যেতে চাইছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে কূটনীতিকদের পরিবার। যাঁদের পরিবারের একাংশ রয়ে গিয়েছে চিনে। এছাড়াও বহু পড়ুয়া নিজের গবেষণা ও পড়াশোনার কাজ শেষ করতেই সেদেশে ফিরছেন বলে খবর।
লাদাখ সংঘাত ও চিন
বর্তমানে চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত চরমে। আর তার জেরেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও নিম্নগামী। এদিকে, লাদাখ নিয়ে কার্যত একের পর এক প্যাঁয়তারায় ভারতকে ঘায়েল করার দিকে এগোচ্ছে সেদেশ। এমন অবস্থায় এই ভারতীয়দের চিনে ফিরে যাওয়ার ঘটনা প্রাসঙ্গিক।