নেপাল-ভারত সম্পর্ক উন্নত হতেই কাঠমান্ডুর রাজনীতিতে নাক গলানো শুরু চিনের! ফের ড্রাগন আস্ফালন
নেপালের রাজনীতিতে চিনের নাক গলানোর ঘটনা কিছু নতুন নয়! এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে চিনের উস্কানি পেয়ে নেপালের রাজনীতির পারদ ব্যাপকভাবে চড়েছিল। এবার নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খানিকটা উন্নত হয়েছে কয়েক মাস বাদে। অন্যদিকে লাদাখ পরিস্থিতিও ঠান্ডা তুলনামূলক, এমন অবস্থায় ফের চৈনিক আস্ফালন শুরু চেনা ধাঁচে!

নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু!
এদিকে , নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে ফের এঅকবার প্রধানমন্ত্রী ওলিকে নিয়ে সংঘাত শুরু হয়েছে। তাঁকে গদিচ্যূত করতে বিরোধী প্রচণ্ড শিবির উঠে পড়ে লেগেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে চিনের তরফে নেপালের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়াঙ্কি ২ ঘণ্টা ওলির সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরই নেপাল রাজনীতির পারদ তুঙ্গে।

নেপালের রাজনীতিতে চিন!
জানা গিয়েছে, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যের সংঘাত কীভাবে দমন করা যাবে, সেই বিষয়ে চিনের দূতের সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেন। যে বিষয়টিকে নেপালের রাজনীতি খুব একটা ভালোভাবে দেখাছে না। নেপাল, চিন সীমান্তের এলাকা নিয়ে যেখানে ধীরে ধীরে সংঘাতের কিছু খবর আসতে থাকে, সেই আবহে এই বৈঠকের তাৎপর্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

ওলির গদি টলমল!
নেপালে ওলির গদি কয়েক মাস ধরেই টলমল করছে। ভারত বিরোধিতা থেকে চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব সমস্ত ক্ষেত্রেই ওলির দিকে তোপ ছুঁড়ে দিয়েছেন তাঁরই পার্টির বিপক্ষ পুষ্প কমল দাহাল। বর্তমানে দাহালের দাবি, নেপালের কোভিড পরিস্থিতির দায় নিয়ে পদত্যাগের রাস্তায় হাঁটুন ওলি।

নেপাল রাজনীতির চাবি জিনপিংয়ের হাতে!
এদিকে, নেপাল রাজনীতির চাবি কাঠি কার্যত জিনপিং নিজের হাতে রাখার চেষ্টা করছেন। আর সেই কাজে তাঁর হাতিয়ার নেপালে অবস্থিত চিনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়াঙ্কি। আপাতত গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে যায়, সেদিকে নজর রাখছে দিল্লি। কারণ দিল্লির সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক উন্নত হতেই , এবং নেপালে ভারতের সেনা প্রধানের সফরের পরই এমন অস্থিরতা তৈরি হয়। যারপর চিন তাতে নাক গলাতে শুরু করে।
