ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে ভারত মহাসাগরে ঘাঁটি চিনের! মোতায়েন হল বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজও
ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে ভারত মহাসাগরে ঘাঁটি চিনের! মোতায়েন হল বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজও
আফ্রিকার একেবারে গা ঘেঁষে Djibouti-তে তৈরি হওয়া চিনের ঘাঁটি সম্পূর্ণ ভাবে কাজ শুরু করে দিল। সম্প্রতি সেই ঘাঁটির বেশ কিছু স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তৈরি হওয়া ওই ঘাঁটিতে একটি চিনের যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। দেশের বাইরে Djibouti-তে চিনের প্রথম (overseas military base) সামরিক ঘাঁটি এটি। প্রায় 590 মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে এই ঘাঁটি নির্মিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সাল থেকে এই ঘাঁটি তৈরির কাজ চলছে। যা অবশেষে শেষ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সামরিক ঘাঁটি চিনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ
রণকৌশলগত ভাবে এই সামরিক ঘাঁটি চিনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, এটি বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত। যা লোহিত সাগর থেকে এডেন উপসাগরকে পৃথক করে এবং সুয়েজ খালের পথ রক্ষা করে। সুয়েজ খালকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। নৌসেনা বিশ্লেষক এইচআই সাটন বলেছেন, চিনের নয়া এই জিবুতি ঘাঁটি একেবারে দুর্গের মতো তৈরি করা। শুধু তাই নয়, প্রতিরক্ষা স্তরগুলি পুরানো দুর্গের মতো। যা সরাসরি আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারের জন্যে যথেষ্ট
ম্যাক্সারের স্যাটেলাইট ইমেজগুলি ঘেটে দেখা যাচ্ছে, একটি 320-মিটার দীর্ঘ অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে চিনের ইউঝাও শ্রেণীর ল্যান্ডিং জাহাজ (Type 071)। যেখানে খুব সহজেই কপ্টার ওঠানামা অরতে পারবে। ভাইস অ্যাডমিরাল শেখর সিনহা (অবসরপ্রাপ্ত) বলছেন, ঘাঁটি সম্পূর্ণ ভাবে অপারেশনাল রয়েছে। তবে ওই ঘাঁটি আরও উনত করতে কাজ চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘাঁটির দুদিকেই চিন যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করতে পারবে। তবে ছবি বিশ্লেষণ করে শেখর সিনহা জানাচ্ছেন, জেটির প্রস্থ ছোট। তবে একটি হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারের জন্যে যথেষ্ট বলছেন অফিসার।
চিনের আক্রমণকারী বাহিনীর মেরুদণ্ড
চেংবাই শান নামের এই জাহাজটি ২৫ হাজার টনের। এটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সেখানে খুব সহজেই অন্তত ৮০০ সৈনিক, বাহন এবং কপ্টার অনায়াসে রাখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর যখন এই জাহাজটি ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছিল সেই সময় একটি frontline Chinese destroyer ছিল। নৌসেনা বিশ্লেষক এইচআই সাটন বলেছেন, Type-071 ল্যান্ডিং শিপ অনেকটাই বড়। এটি একাধিক ট্যাংক, ট্রাক এমনকি হোভারক্রাফট বহন করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এই নৌবহরটি চিনের আক্রমণকারী বাহিনীর মেরুদণ্ড। যদিও এখন আরও শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক জাহাজ বহরে যোগ দিচ্ছে। আকার এবং ক্ষমতার কারণে, এটি লজিস্টিক মিশনে ব্যবহার করা হয় এই জাহাজ।
চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের
ইউঝাও শ্রেণীর ল্যান্ডিং জাহাজ (Type 071) কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। চিনের নৌসেনার কাছে এমন একাধিক জাহাজ রয়েছে। Djibouti ঘাঁটি পুরোপুরি ভাবে কাজ করে দেওয়ার ছবি এমন সময় এল যখন চিনের 25 হাজার টন স্যাটেলাইট এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল ট্র্যাকিং জাহাজ ইউয়ান ওয়াং 5 শ্রীলঙ্কাতে রাখা হয়েছে। যা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে ভারত। বিশেষ করে এই জাহাজ খুব সহজেই ভারতের পরমাণু ঘাঁটির সমস্ত তথ্য তুলে নিতে পারবে। আর সেটাই চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের।
চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ভারতীয় নৌবাহিনী
বলে রাখা প্রয়োজন, জিবুতিতে চিনের ঘাঁটি তৈরি করার অন্যতম লক্ষ্য হল ভারত মহাসাগরে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করা। শুধু মার্কিন নৌসেনা নয়, ভারতীয় নৌবাহিনীর ঘাঁটির কথা মাথায় রেখেই এটি তৈরি করা হয়েছে বলেও মত বিশ্লেষকদের। পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরও এক্ষেত্রে আরও সম্প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতীকী ছবি
ভাবমূর্তি ফেরাতে কড়া মুখ্যমন্ত্রী! মন্ত্রীদের পাইলট কার-লাল বাতি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা