গুলি খেয়েও থামল না 'শার্লি এবদো', ফের ছাপল হজরত মহম্মদের কার্টুন
প্যারিস, ১৪ জানুয়ারি: গুলি চলল। রক্ত ঝরল। তবুও 'শার্লি এবদো'-কে থামানো গেল না। বুধবার থেকে আবার পথচলা শুরু করল তারা। প্রচ্ছদে ফের ছাপল হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র! হাতে পোস্টার!
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে পত্রিকা দফতরে জঙ্গি হামলা, গুলিতে নিহত ১২
২০১১ সালে 'শার্লি এবদো' পয়গম্বর হজরত মহম্মদের একটি কার্টুন ছেপেছিল। তার জেরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তাদের অফিসে। শেষ পর্যন্ত গত ৭ জানুয়ারি জঙ্গিরা হামলা চালায় সেই ব্যঙ্গচিত্র ছাপার প্রতিশোধ নিতে। গুলিতে মারা যান মোট ১২ জন। বেঁচে যাওয়া সাংবাদিক ও কার্টুনিস্টরা শপথ নেন যে, পরের বুধবার অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি যথারীতি পত্রিকা বেরোবে। সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশনা এক সপ্তাহও বন্ধ রাখা হবে না।
নিরাপত্তার কারণে এই মুহূর্তে 'শার্লি এবদো'-র অফিস বন্ধ। সংশ্লিষ্ট পত্রিকার কর্মীরা কাজ করছেন আর এক সংবাদপত্র 'লিবেরাশিঅঁ'-র অফিস থেকে। আপাতত কয়েক সপ্তাহ সেখান থেকে কাজ চলবে।
যে প্রচ্ছদটি ছাপা হয়েছে এদিনের পত্রিকাতে, তাতে রয়েছে পয়গম্বর হজরত মহম্মদের একটি কার্টুন। ওপরে লেখা 'তু এ পারদনে' (সবাইকে ক্ষমা করা হল)। কার্টুনের হাতে ধরা একটি পোস্টার, 'জ্যে সুই শার্লি' (আমি শার্লি)। কার্টুনের চোখ দিয়ে জল ঝরে পড়ছে। 'শার্লি এবদো' পত্রিকার প্রচার সংখ্যা ৬০ হাজার হলেও এদিন তা ছাপা হয়েছে ৩০ লক্ষ। সারা বিশ্ব থেকে অর্ডার এসেছে। প্যারিসে পত্রিকাটি কিনতে লাইন পড়ে যায় বিভিন্ন দোকানে। ভিড় সামলাতে আসরে নামতে হয় পুলিশকে।
পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক জেরার ব্রিয়ার বলেন, "আমরা খুশি যে আমরা কাজটা করে দেখাতে পারলাম।" আর যে কার্টুনিস্ট হজরত মহম্মদের কার্টুনটি এঁকেছেন, সেই রেনল লুজিয়ে বলেছেন, "আমি প্রচ্ছদের ছবি নিয়ে চিন্তিত নই। কারণ মানুষ বুদ্ধিমান। তাঁরাই যা বোঝার বুঝে নেবেন।"
এদিকে, শার্লি এবদো'-র ঘটনার দায় স্বীকার করল আল কায়েদার ইয়েমেন শাখা। হজরত মহম্মদকে অপমানের বদলা নিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে তারা।