প্যারিসে হামলার ঘটনায় আত্মসমর্পণ এক জঙ্গির, বাকি দুই অধরাই
প্যারিস, ৮ জানুয়ারি: 'শার্লি এবদো' পত্রিকা অফিসে হামলার ঘটনায় এক জঙ্গি আত্মসমর্পণ করল পুলিশের কাছে। আরও দু'জনের সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পাশাপাশি, গোটা ফ্রান্সকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে পত্রিকা দফতরে জঙ্গি হামলা, গুলিতে নিহত ১২
ফরাসি ব্যঙ্গাত্মক পত্রিকা 'শার্লি এবদো'-র অফিসে ঢুকে গতকাল এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তিনজন মুখোশধারী জঙ্গি। মারা যান মোট ১২ জন। এঁদের মধ্যে আটজন সাংবাদিক ও দু'জন পুলিশকর্মী। 'শার্লি এবদো'-র সম্পাদক স্তেফান শার্বোনিয়ে মারা গিয়েছেন এই হামলায়। প্রসঙ্গত, পয়গম্বর হজরত মহম্মদকে নিয়ে কার্টুন ছাপানোর পর থেকেই হুমকি-ফোন পাচ্ছিলেন তিনি। তাই তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তাতেও শেষ রক্ষা হল না।
এদিকে, তিন হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। এরা হল হামিদ মুরাদ (১৮), শেরিফ কুয়াচি (৩২) এবং সঈদ কুয়াচি (৩৪)।
পুলিশ জানিয়েছে, চারদিকে তল্লাশি চলছে দেখে হামিদ মুরাদ বুঝতে পারে, বাঁচার কোনও উপায় নেই। তাই সে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। যদিও বাকি দু'জন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শেরিফ কুয়াচি ও সঈদ কুয়াচি দুই ভাই। শেরিফ এর আগে ২০০৮ সালে ফরাসি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল নাশকতার চালানোর চেষ্টার অভিযোগে। গতকালের হামলার পর জঙ্গিরা স্লোগান দেয়, 'মহম্মদের জয়', 'আল্লাহু আকবর' বলে। পুলিশের দাবি, ওই জঙ্গিরা আল কায়েদার সদস্য।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্স জুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক। ফরাসি রাষ্ট্রপতি ফ্রাঁসোয়া অলাঁদ বলেছেন, ফ্রান্স বরাবর মুক্তচিন্তায় বিশ্বাস করে এসেছে। জঙ্গিরা ফরাসি ঐতিহ্যকে শেষ করতে পারবে না।
জঙ্গি হামলার পর প্যারিসের রাস্তায় নেমে আসেন হাজারে-হাজারে লোক। তাঁদের হাতে ছিল পোস্টার 'জে সুই শার্লি' (আমি শার্লি), 'নু সম শার্লি' (আমরা শার্লি) আর জ্বলন্ত মোমবাতি।
'শার্লি এবদো'-তে হামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে আরব লিগ। পোপ ফ্রান্সিস-ও এই আক্রমণকে 'ঘৃণ্য' বলে বর্ণনা করেছেন।
#PHOTO
Vigils
held
around
the
world
after
deadly
attack
on
#CharlieHebdo
in
Paris.
#JeSuisCharlie
pic.twitter.com/W8ZUSSxFbE
—
Agence
France-Presse
(@AFP)
January
8,
2015