চন্দ্রযান ২: বিক্রম ল্যান্ডারের খোঁজ শেষ করে ছবি প্রকাশ নাসার! সাহায্য় চেন্নাইয়ের প্রযুক্তিবিদের
চন্দ্রযান ২-এর বিক্রম ল্যান্ডার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ মিটার দূরেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ভারতী মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর সঙ্গে। ফলে জল্পনা শুরু হয় যে , বিক্রম সম্ভবত নিস্তেজ হয়ে পড়ে রয়েছে চন্দ্র পৃষ্ঠে। ততক্ষণে চাঁদের দক্ষিণপ্রান্তে ঘনিয়ে আসে দীর্ঘ 'রাত'। ফলে বিক্রমের পরিস্থিতি কী তা নিয়ে কৌতূহল বাড়তে থাকে। সেই ঘটনার প্রায় ৩ মাস পরে নাসা জানিয়ে দিল ইসরোর চন্দ্রযান ২ এর বিক্রম ল্যান্ডারের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল।
|
চন্দ্রযান ২ এর বিক্রমের কেমন ছবি প্রকাশ্যে?
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র চন্দ্রযান ২ এর বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ প্রকাশ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। নাসার লুনার অরবিটার মহাকাশ থেকে এই ছবি পাঠিয়েছে। ফলে এখন স্পষ্ট হয়ে গেল যে ৭ সেপ্টেম্বরের রাতে হার্ড ল্যান্ডিং এর ফলে ধ্বংস হয়ে যায় বিক্রম। যার ফলে চূর্ণ হয়ে যায় চন্দ্রযান ২ এর স্বপ্ন।
কোথায় দেখা গিয়েছে এই ধ্বংসাবেশেষ?
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার তরফে জানানো হয়েছে, বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে মূল দুর্ঘটনার এলাকা থেকে ৭৫০ মিটার দূরে। প্রথমে 'শনমুগা শনমুগা' এই ছবি তোলে। এরপর, চেন্নাইয়ের শনমুগা সুব্রহ্মমণ্যম নাসার এলআরও সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর সেই ছবি আসে নাসা-র হাতে।
এরপরই নাসা-র তৎপরতা শুরু হয়
শনমুগা
সুব্রহ্মণ্যমের
থেকে
তথ্য
পেয়ে
নাসার
এলআরও
টিম
কাজ
শুরু
করে
বিক্রম
ল্যান্ডারের
খোঁজে।
এরপরই
এরপরই
চাঁদের
চারপাশে
ঘুরতে
থাকা
নাসার
অরবিটার
বিক্রমের
ধ্বংসাবেশেষ
খুঁজে
পায়।
এর আগেও বিক্রমকে খুঁজেছে নাসা
গত ৭ সেপ্টেম্বর আপামর ভারতবাসীর স্বপ্ন ভঙ্গ করে ইসরোর চন্দ্রযান ২ যখন বিফলে যায়, তখন তার কারণ হিসাবে উঠে আসে বিক্রম ল্য়ান্ডারের হার্ড ল্যান্ডিং ঘিরে সম্ভবনার তত্ত্ব। আর সেই তত্ত্ব কার্যত এবার সঠিক বলে প্রমাণ করে দিল নাসা। এদিকে, ভারতের বিক্রমকে খোঁজার জন্য এগিয়ে আসা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা । তখন বিক্রমের জন্য মহাকাশে বার্তাও পাঠায় নাসা।
' হ্যালো বিক্রম' !
নাসা তরফে তাদের অরবিটার সেই সময় 'হ্যালো বিক্রম' বলে বার্তা পাঠায় চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে নিস্তেজ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিক্রমের কাছে। আশা ছিল, বিক্রম যদি একবার জেগে ওঠে। আর সেই ডাকে যে বিক্রম সাড়া দিতে পারেনি, তার অন্যতম কারণ , বিক্রম ল্যান্ডার ততক্ষণে ধ্বংস হয়ে যায়। যার প্রমাণ মিলল ডিসেম্বরে।