ইংল্যান্ডে বসেই চণ্ডীপাঠ বাঙালি চিকিৎসকের, মহালয়ার আগে শারদ উৎসব শুরু টেমসের পাড়ে
তিনি বসে রয়েছেন সুদূর ইংল্যান্ডে। আর সেই ইংল্যান্ডে বসেই এই বাঙালি মানুষটি মাতেন শারদ আনন্দে। প্রত্যেক বছর কোনও না কোনও পুজোয় তিনি দুর্গা পুজোয় চণ্ডীপাঠ করেই থাকেন। এবার মহালয়া উপলক্ষে চণ্ডীপাঠ করার চেষ্টা করলেন পাঞ্চজন্য ঘটক। তিনি চিকিৎসক। তিনি থাকেন বিদেশে, কিন্তু বাঙালিয়ানা তার মনে প্রাণে লেগে রয়েছে। তাই তিনি নিজেই করে ফেললেন মহালয়ার আগে মহালয়ার রেকর্ড।
কী বলেছেন পাঞ্চজন্য ঘটক?
পাঞ্চজন্য
ঘটক
বলেছেন
,
মঞ্জুশ্রীদির
উৎসাহে
আমার
চন্ডীপাঠ
শুরু।
বছর
ছয়েক
আগে।
শেফিল্ডের
দুর্গা
পুজোয়
সেই
প্রথম
এই
কাজ
করি।
তার
বছর
খানেক
পরে
লন্ডনে
বিলেতে
বাঙালির
জগদ্ধাত্রী
পুজোয়,
সামিউল
ভাইয়ের
সঙ্গে
কীবোর্ড
বাজানো।
বহু
মানুষের
ভালো
লাগে।
কথাটা
তখন
থেকেই
মাথায়
ঘুরঘুর
করছিলো।
কিন্তু
বিলেতে
'প্রেফেশনাল
রেকর্ডিং'
এর
খরচ
আকাশ
ছোঁয়া।
ফেসবুকে পরিচয়
তাঁর
কথায়,
"ফেসবুক
এই
আলাপ
হয়
রোহন
পাইনের
এর
সঙ্গে।
বৈদ্যবাটিতে
বাড়ি।
পেশাদার
কীবোর্ড
প্লেয়ার
আর
শিক্ষক।
ঠিক
করি
রোহানের
সঙ্গতে
চন্ডীপাঠ
আর
গান
দিয়ে
একটা
ছোটো
মিউজিক
ভিডিও
করব
।
আলাপ
হয়
ফেসবুক
এ
চুঁচুড়ার
সবিতাদের
সঙ্গে।
এবার
দেশে
গিয়ে
মুনজির
নেতৃত্বে
তৈরী
হয়
আমাদের
ছোট্ট
টিম
'বোধন'।"
এরপরের ঘটনা কেমন?
শ্রীরামপুরে এবার ফেব্রুয়ারিতে কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই প্রেফশনাল রেকর্ডিং স্টুডিয়োতে চন্ডীপাঠ রেকর্ডিং করি। আর ঠিক হয় এক হারিয়ে যাওয়া আগমনী গান আমরা নিয়ে আসবো আপনাদের কাছে। এই গানের কথা আমার বইতে লিখেছি। রোহানের উৎসাহে শ্রীরামপুর অঞ্চল থেকে শিল্পীদের গানের জন্য, ক্যামেরার কাজের জন্য পাই। শুটিং হয়ে গিয়েছে। ফাইনাল এডিটিং এর কাজও হয়ে গিয়েছে । এবার ফাইনাল যে ভিডিও আসবে তাতে সবার পরিচয় পাওয়া যাবে।' তিনি বলেন, প্রথমে একটি ছোটো প্রোমো ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক রেসপন্স মিলেছে। আমার জন্মদিন ছিল তখনই। রিটার্ন গিফট হয়ে যায় সেটাই।
অভিজ্ঞতা
'একটা
ছোটো
ভিডিও
করতেও
অনেক
চ্যালেঞ্জের
মুখোমুখি
হতে
হয়।
রোহান
প্রোডাকশন
এর
খুঁটিনাটি
সামলেছে
,
মুনের
সঙ্গে
আলোচনা
করে।
কোরিওগ্রাফ
করেছে
সবিতা।
ক্যামেরার
কাজে
প্রমিত
আর
নটিংহ্যাম
তপোজয়।
গানে
গঙ্গোত্রী
গুহঠাকুরতা,
প্রাচী
ও
প্রমিত।
বাঙালির
বিরাট
সম্পদ
মহিষাসুরমর্দিনী।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ
ভদ্রকে
প্রণাম
আমাদের
এই
ছোটো
প্রয়াস।
ভিডিওর
ক্লিপ
গুলো
যখন
পেতাম,
চেনা
গঙ্গা,
চেনা
মন্দির,
চেনা
জীবনের
ছায়া
নিয়ে
যেতো
আমাদের
চেনা
বাংলায়
।
বিলেত
আর
বাংলার
সঙ্গে
যোগাযোগ
রাখার
আমাদের
একটি
পদক্ষেপ।
দেবী
বোধন,
আপনাদের
জন্য
নিয়ে
আসছি
পুজোর
আগেই।
পাশে
থাকবেন।'