শুরু হবে মানবদেহে পরীক্ষা, কী করে কাজ করে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন?
শুরু হবে মানবদেহে পরীক্ষা, কী করে কাজ করে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন?
মারণ সংক্রমণ করোনায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতি থেকে ততদিন নিস্তার পাওয়া যাবে না, যতদিন না এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। আর এর ফলে একাধিক দেশএ ইতিমধ্যেই সেই কাজে লেগে পরেছে। এদেরর মধ্যে অন্যতম হল ইংল্যান্ড। সেখানের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জানুয়ারি থেকেই করোনা রোধী ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।
এই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের নাম কী?
ChAdOx1 nCoV-19 নামক এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের টিম বানানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। এদের শরীরেই আগামীকাল অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এবং তাহলেই জানা যাবে যে এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সফল হয়েছে কি না।
আরও যেসব রোগ সারাতে পারবে এই ভ্যাকসিন
যে ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, তা সরাসরি গিয়ে এই ভাইরাস বা এনজাইমের ওপর কাজ করবে। শুধু করোনা ভাইরাসই নয়, এই ধরনের ড্রাগ বা ওষুধ হৃদরোগ, আর্থারাইটিস, স্ট্রোক, ক্যান্সারের মতো রোগেরও উত্তর হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। করোনার উত্তর রয়েছে ওই ৬টি ড্রাগ কম্পাউন্ডের মধ্যে।
কী করে কাজ করবে এই ভ্যাকসিন?
করোনা ভাইরাসের জেনেটিক তথ্যধারী আরএনএ-কে একটি কমন ভাইরাসে ইঞ্জেক্ট করে করোনা ভাইরাসের একটি নকল তৈরি করা হয়। এটা এরপর মডিফাই করে শরীরে ইঞ্জেক্ট করা হয়। কমন ভাইরাস ভেক্টর বা বাহক হিসাবে কাজ করে। সেটাই শরীরে এই মডিফাইড ভাইরাসটিকে অ্যান্টিবডিতে পরিণত করে।
কবে থেকে এই ভ্যাকসিনের কাজ শুরু?
সারা বিশ্বের অন্য গবেষকদের মতো অক্সফোর্ডের গবেষকেরাও কোভিড ১৯ -এর অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে কাজে লেগে পড়েছিলেন বহু আগে। ১০ জানুয়ারি থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের কাজ শুরু করেছে অক্সফোর্ডও জেন্না। মার্চেই প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়েরই কাজ চলছে বর্তমানে।
কে কে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছেন?
করোনারোধী এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও গবেষনার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক-বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট। যিনি ইবোলা মহামারী প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন তৈরির দিশা দেখিয়েছিলেন। এছাড়া রয়েছেন অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল ও ড স্যান্ডি ডগলাস।
ছবি সৌজন্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়