যুদ্ধবিরতি শেষে রকেট হামলা হামাসের, ঝাঁপিয়ে পড়ল ইজরায়েলও
'অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ' শুরু হওয়ার পর থেকে ২৯ দিন যুদ্ধ চলেছে। মারা গিয়েছে অন্তত ১৮০০ মানুষ। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল দু'পক্ষই। গাজা থেকে সেনাও সরিয়ে নেয় ইজরায়েল। ৭২ ঘণ্টায় এই যুদ্ধবিরতি শেষ হয় শুক্রবার সকাল আটটায়। তার পরই গাজা থেকে উড়ে আসতে শুরু করে রকেট। দক্ষিণ ইজরায়েলের আশকেলন শহর লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হলে পাল্টা রকেট ছুড়ে সেটিকে আকাশপথে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সেটি ইজরায়েলে আছড়ে পড়লে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হত।
আক্রমণের জবাবে কী করা উচিত, জানতে চেয়ে বার্তা যায় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে। উত্তর আসে পাল্টা হামলা করার। সঙ্গে সঙ্গে গাজার উদ্দেশে উড়ে যায় ইজরায়েলের বোমারু বিমান। গাজা সীমান্তে মোতায়েন ট্যাঙ্ক থেকে শুরু হয় গোলাবর্ষণ। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, হামাস যথারীতি পুরনো কায়দায় যুদ্ধ শুরু করেছে। তারা হাসপাতাল, স্কুলের দখল নিয়ে সেখান থেকে রকেট ছুড়ছে। ইজরায়েলের গোলা এখানে এসে পড়লে রোগী, শিশুরা মারা যাবে আর সেই ছবি বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়ে ইজরায়েলের ওপর পাল্টা চাপ তৈরি করতে পারবে তারা। তবে সকাল থেকে নতুন করে শুরু হওয়া লড়াইয়ে এখনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্র উদ্ধৃত করে 'দ্য টাইমস অফ ইজরায়েল' জানাচ্ছে, হামাস প্রথমে হামলা শুরু করায় কায়রোতে শান্তি আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসেছেন ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলেছেন, জঙ্গিরা রকেট হামলা বন্ধ না করলে আলোচনার প্রশ্ন নেই।
এদিকে, হামাস জঙ্গিদের খোঁড়া সুড়ঙ্গগুলি অকেজো করে দেওয়া সম্ভব হয়ে বলে ইজরায়েল দাবি করলেও তা মানতে চায়নি প্যালেস্তাইন যোদ্ধারা। হামাস কমান্ডার আবু লাইথ বলেছেন, কিছু সুড়ঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাকিগুলি অক্ষত রয়েছে। এই সুড়ঙ্গ দিয়েই আগামী দিনে ইজরায়েলে হামলা চালানো হবে। গাজার মানুষ নিরাপদে না থাকলে ইজরায়েলকেও নিরাপদে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন ওই কমান্ডার।