১ কোটি ৭০ লক্ষের রহস্যভেদে মির্জা এলেন মুকুলের বাড়িতে! নারদকাণ্ডে নয়া মোড়
নারদ-কাণ্ডে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা কি এলগিন রোডের বাড়িতেই টাকা দিয়েছিলেন মুকুল রায়কে? মুকুল রায়ের বাড়িতে নারদ-কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া দানা বেঁধেছে সন্দেহ।
নারদ-কাণ্ডে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা কি এলগিন রোডের বাড়িতেই টাকা দিয়েছিলেন মুকুল রায়কে? রবিবার মির্জাকে নিয়ে সিবিআই মুকুল রায়ের বাড়িতে নারদ-কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় এই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এদিন মুকুল রায়ের বাড়িতে মির্জার প্রবেশ থেকে শুরু করে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করা পর্যন্ত পুরো ঘটনা ভিডিওগ্রাফি করা হয়।
মুকুল রায় বলেন, সিবিআই নারদ তদন্তের পুনর্নিমাণ করেছিল আগেই। আমার বাড়ির অংশটা বাকি ছিল। তাই এটা একটা রুটিন প্রক্রিয়া। যদিও রাজনৈতিক মহল এই ঘটনাকে রুটিন প্রক্রিয়া মানতে নারাজ। একটা অংশ মনে করছে সিবিআই এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে মুকুল রায়কে বিপুল অঙ্কের টাকা কীভাবে দেওয়া হয়েছিল।
সিবিআইয়ের জেরায় মির্জা জানিয়েছেন তিনি মুকুল রায়ের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন। সেই টাকা কীভাবে দেওয়া হয়েছিল, কোন জায়গায় দেওয়া হয়েছিল, তা দেখতেই এই পুনর্গঠন। মির্জা ও মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়েই ভিডিওগ্রাফি করে সিবিআই। ভিডিওগ্রাফির পর মুকুল রায় বলেন, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। নারদকর্তা যাদের টাকা দিয়েছে, সবই ভিডিও করে রেখেছেন, আমাকে কোনও ছবিতে দেখা যায়নি টাকা নিচ্ছি। যদি কোনও ছবি দেখাতে পারে, আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে মাথা পেতে নেব।
এদিন সিবিআই হানার পর মুকুল রায় বলেন, আমি তো আগেই জানিয়েছি। তদন্তে সমস্তরকম সহযোগিতা করব। যতবার ডাকবে ততবার যেতে আমি রাজি। তিনি আবার বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবারই সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে মির্জাকে মখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় মুকুল রায়কে।