আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহমেদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন হত্যার অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করেছেন।
আহমদ শফী মারা যাওয়ার প্রায় তিন মাস পর এই মামলা দায়ের করা হলো। চলতি বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, চট্টগ্রামের জেলা আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পিবিআইকে এক মাসের মধ্যে এই মামলার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অজ্ঞাতনামা ৩৬ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। এদের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ কয়েক জনের সুনির্দিষ্ট নাম দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে তাকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।
আরো পড়ুন:
- যেভাবে কওমি ধারার একক নেতায় পরিণত হয়েছিলেন আহমদ শফী
- আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে ইসলাম টিকবে তো?
- 'টেনশনে' হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয় আহমদ শফীর - ছেলের দাবি
- সরকারের সঙ্গে আহমদ শফীর সখ্যতা বাংলাদেশকে যতটা বদলে দিয়েছে
এর আগের দিন, অর্থাৎ ১৭ই সেপ্টেম্বর রাতে টানা দু'দিনের বিক্ষোভের জেরে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় ওই মাদ্রাসার পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান আহমদ শফী।
তার পরিবারের সদস্যরা এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন যে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো।
তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
২০১৩ সালে ঢাকায় শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে আলোচনায় এসেছিলেন আহমদ শফী।
আহমদ শফী জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়।
তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসা ছাড়াও ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ালেখা শেষ করে ফিরে এসে হাটহাজারী মাদ্রাসাতেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
দীর্ঘদিন যাবত দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি এবং বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করছিলেন।