ক্যাপিটাল ভবনে হামলায় উত্তাল আমেরিকা! কাঠগড়ায় ট্রাম্প-পন্থী একাধিক পুলিশ আধিকারিক
ক্যাপিটাল ভবনে হামলায় উত্তাল আমেরিকা! কাঠগড়ায় ট্রাম্প-পন্থী একাধিক পুলিশ আধিকারিক
আমেরিকার ক্যাপিটাল ভবনে হামলার ঘটনায় তুঙ্গে তর্জা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। এবার তার রেশ ধরেই এল নতুন মোড়। গত সপ্তাহে ওই হামলা চলাকালেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ নিয়েও খবরও প্রকাশ করেছিল বিভিন্ন মার্কিন গণমাধ্যম।
হামলায় যোগ ৩০ পুলিশ আধিকারিকের ?
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহ ট্রাম্পের সমর্থনে ক্যাপিটাল ভবনের উদ্দেশ্যে মিছিলে যোগ দিয়েছিল কমপক্ষে ৩০ জন প্রাক্তন ও ছুটিতে পুলিশ। তবে সংখ্যাটা আরও বেশি বলেই ধারণা অনেকের। এর মধ্যে ১০ পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছে বলেোজানা যাচ্ছে। এদিকে এই ক্যাপিটাল ভবন চত্বরে দাঙ্গায় এক পুলিশ অফিসার সহ পাঁচ জনের মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। যা নিয়ে উত্তাল মার্কিন রাজ্য-রাজনীতি।
হামলাকারীদের সঙ্গে সেলফি
অন্যদিকে একটি ভাইরাল ভিডিওতে হামলার সময় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হামলাকারীদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে। পাশাপাশি ট্রাম্পের স্লোগান 'মেক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন' লেখা টুপি পড়ে সরাসরি হামলাকারীদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে একাধিক ট্রাম্প-পন্থী পুলিশ আধিকারিকদের। এদিরে মধ্যে অনেকেই মার্কিন পুলিশের উচ্চপদস্থ পদে কর্মরত ছিলেন বা আছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রশ্নের মুখে একাধিক পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকা
এদিকে দাঙ্গায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে ক্যাপিটাল পুলিশ অফিসার ব্রায়ান সিকনিক এবং ট্রাম্প সমর্থক অ্যাশলি ব্যাবিট ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে হামলার সময় ট্রাম্পের সমর্থনে পতাকা হাতে ক্যাপিটাল ভবনে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে হিউস্টনের পুলিশ আধাকারিক ট্যাম ফ্যামকে। এমনকী ট্রাম্প-পন্থী উগ্রবাদীদের সঙ্গে মিলে ক্যাপিটাল ভবনে হামলারও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরেই বৃহঃষ্পতিবার পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
১৮১৪ সালের পর ফের বেনজির হামলা ক্যাপিটাল ভবনে
অন্যদিকে রকি মাউন্টের পুলিশ সার্জেন্ট টি.জে. রবার্টসন এবং আরও এক পুলিশ আধিকারিক জ্যাকব ফ্রেকারকেও অন্যান্য দাঙ্গাকারীদের সাথে ক্যাপিটালের ভিতরে দেখা গিয়েছিল বলে খবর। এদিকে এর আগে ১৮১৪ সালে ওয়াশিংটনে অভিযান চালানের সময় ব্রিটিশ বাহিনী নির্মাণাধীন ক্যাপিটাল ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে ইতিহাস থেকেই জানা যায়। এর পর ২০২১ সালে ঘটল আবারও এ ধরনের অঘটন। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠদের বেনজির হামলায় খসে পড়ল গণতন্ত্রের ধ্বজা। হিংসার আগুন রাজধানী ছাড়াও ফ্লোরিডা-সহ আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়।
'জি সেভেন সামিটে ' মোদীকে আমন্ত্রণ বরিসের, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ঘিরেও জল্পনা শুরু