মাকড়সার কামড় খেয়ে এক মহিলার যা দশা হল কল্পনাও করতে পারবেন না
কানাডার বাসিন্দা এক যুবতী মাকড়সার কামড় খেয়ে সারাজীবনের জন্য প্রতিবন্ধী হয়ে গিয়েছেন।
কানাডার বাসিন্দা চে আলবারেসের বয়স মাত্র ২১ বছর। এই বয়সেই একটি পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে তাঁর। কোনও দুর্ঘটনার কারণে নয়, এমনকী গ্যাংগ্রিনও হয়নি। কিন্তু তাও তাঁকে বাঁচাতে এই বয়সেই একটি পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে।
চে-র পায়ের গোঁড়ালিতে মাকড়সা কামড়েছিল। যার ফলে এমন অবস্থা হয়েছিল যে কোমায় চলে গিয়েছিলেন চে। তাঁর অর্গ্যান ফেলিওর হতে পারত, এমনকী প্রাণও যেতে পারত।
মাকড়সা কামড়ানোর পরে প্রায় দশদিন কোমায় ছিলেন চে। তারপরে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে প্রাণে বাঁচলেও পরের ১২দিন একেবারে তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। হাতে-পায়ে জোর ছিল না। ভালো করে কথাও বলতে পারছিলেন না।
সেই অবস্থাতেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কোনওমতো কাগজ-কলম নিয়ে মা-কে একটি প্রশ্ন করেন চে। লেখেন, "আমার একটা পা কি কাটা গিয়েছে?" আসলে চে বুঝতে পারছিলেন কিছু একটা হয়েছে, তবে কী হয়েছে, কীভাবে হয়েছে তা জানতেন না।
গত ৩ জুন চে-কে মাকড়সা কামড়ায়। তার ঠিক দুই দিনের মাথায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন চে। ধীরে ধীরে কোমায় চলে যান। তারপর যখন জ্ঞান ফিরেছে, ডান পায়ের একটা অংশ ততক্ষণে বাদ চলে গিয়েছে।
চে-র মা জানিয়েছেন, মাকড়সাটি কামড়ানোর পর সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছিল। অবস্থা এমন ছিল, পা না কাটলে চে-র মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। যে মাকড়সাটি কামড়েছে চে-কে তার নাম ব্রাউন রেক্লুস স্পাইডার। আমেরিকায় ব্ল্যাক উইডোস নামের মাকড়সার পর এটির বিষই সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর।
প্রাণে বাঁচলেও এখনও ঝুঁকি যায়নি চে-র। আরও কিছুমাস হাসপাতালে থাকতে হবে তাঁকে। পরে নকল পা লাগিয়ে হাঁটাচলাও করতে পারবেন। তবে সামান্য একটা মাকড়সা চে-কে সারাজীবনের জন্য প্রতিবন্ধী করে দিয়েছে।